- সেপ্টেম্বর ২, ২০২২
- লিড নিউস
- 182
নিউজ ডেস্কঃ ‘সিলেট একটি ঐতিহবাহী এবং জ্ঞানী গুণী ব্যক্তিদের শহর। দুঃখের বিষয় যে, শিক্ষা ক্ষেত্রে সিলেট অনেক পিছিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন এমপি।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সৈয়দ মুজতবা আলীর বর্ধিতাংশে উদ্বোধন পরবর্তী আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, একসময় সারা বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত লোক ছিল সিলেটে। সাম্প্রতিককালে এ দিকটাকে আমাদের জোড় দিতে হবে। কারণ বাংলাদেশের শিক্ষার হারে সিলেটের অবস্থা খুবই নিম্নে। এই নিম্নে হওয়ার কারণে আমাদের মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হারও বেশি। আমাদের অনেকের মাথাপিছু ইনকামও ভালো। তবুও ওইগুলোর বাড়তি খুব বেশি। এর একটি বড় কারণ হল অবকাঠামোর অভাব ছিল। স্কুল কলেজ অনেক কম। আমি ২০০৩ সালের একটা জরিপ করি। এই জরিপ অনুযায়ী বৃহত্তর সিলেট এবং বরিশালের মানুষ সমান ছিল। কিন্তু বর্তমানে সিলেটের মানুষ বেশি বরিশালের মানুষ কম। কিন্তু সিলেটের তুলনায় সাড়ে তিন গুণ বেশি স্কুল-কলেজ আছে বরিশালে। সাধারণত একটি চাকরির জন্য বরিশালের গ্রাজুয়েট ছয়জন আবেদন করলে করলে সেখানে সিলেটের থাকে মাত্র একজন। এছাড়া সিলেটে প্রাইমারি স্কুল গুলোর দিকে দেখলে সেখানে মহিলা শিক্ষক ও পাওয়া যায়না।’
অন্য জায়গা থেকে নিয়ে এসে এখানে শিক্ষা দিতে হয়৷ এজন্য অবকাঠামোর পাশাপাশি শিক্ষার ক্ষেত্রেও জোর দিতে হবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মো. আনোয়ারুল ইসলাম, সৈয়দ মুজতবা আলীর ভাইয়ের ছেলে সৈয়দ রুহুল আমীন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশও নির্দেশনা পরিচালক আমিনা পারভীন, প্রক্টর ইশরাত ইবনে ইসমাইল, হল প্রাধ্যক্ষ আবু সৈয়দ আবু সাঈদ আরফিন খাঁন প্রমুখ।
এর আগে বেলা পৌনে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর বেলা ১১টায় হল উদ্বোধন করেন তিনি।