• অক্টোবর ১৪, ২০২২
  • শীর্ষ খবর
  • 305
সরকারি-বেসরকারি দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন ছাত্রলীগ সভাপতি

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সরকারি ও বেসরকারি দুইটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে যাচ্ছেন হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার বড়ইউড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি যোবায়ের রহমান অসীম।

এ বিষয়টি নিয়ে নিজ এলাকায় সমালোচিত ছাত্রলীগের ওই সভাপতি ।

অসীম বড়ইউড়ি ইউনিয়নের রোকনপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার ও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা হিসেবে কর্মরত।

কমিউনিটি ক্লিনিকে চাকরি করে ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তার দায়িত্ব পালন করা সরকারি নিয়ম বহির্ভুত। এছাড়া সরকারি চাকরি করে ছাত্র সংগঠনের পদে থাকার বিষয়টিও সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী। কিন্তু অসীম রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে একাধারে এই তিন দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, যোবায়ের রহমান অসীম প্রায় ৮ বছর ধরে রোকনপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারের দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘদিন ধরে ইউপি ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাও। সর্বশেষ প্রায় দেড় বছর ধরে দখল করে রেখেছেন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতির পদটিও।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার কয়েকজন বলেন, অসীম এক সঙ্গে তিনটি দায়িত্ব পালন করায় কোনোটিতেই পর্যাপ্ত সময় দিতে পারছেন না। এতে ইউনিয়নের প্রায় ৬ হাজার মানুষ কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

যোগাযোগ করা হলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিকের একমাত্র দায়িত্ব পালনকারী পদ কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার। এই পদে থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করা বেআইনি। এমন ঘটনার প্রমাণ পেলে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হবিগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক বিজেন ব্যানার্জী বলেন, অন্য সরকারি চাকরি করে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তার দায়িত্ব পালন করা নিয়ম বহির্ভুত। খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকারি চাকরি করে ছাত্রলীগের পদে থাকা দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বানিয়াচং উপজেলা ছাত্রলীগকে নির্দেশ দেওয়া হবে।

ছাত্রলীগ সভাপতি যোবায়ের রহমান অসীমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি একসঙ্গে একাধিক দায়িত্ব পালনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে শুধু ব্যবসা করি, কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্ব পালনের পর সময় পেলে সেখানে যাই’।