- অক্টোবর ২১, ২০২২
- জাতীয়
- 196
নিউজ ডেস্কঃ বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের আগে খুলনায় বাস কেন বন্ধ রয়েছে, তা জানে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
সংস্থাটির চেয়ারম্যান বলেছেন, বাস বন্ধের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি পাননি তারা।
নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে শুক্রবার বিআরটিএ প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মাদ মজুমদার।
ভোর থেকে দুই দিনের ধর্মঘট শুরু করেছে খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ও খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন।
সমিতির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়কে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে নছিমন, করিমন, মাহিন্দ্রা ও ইজিবাইক চলাচল করছে। প্রশাসন এগুলো বন্ধ না করলে ২১ ও ২২ অক্টোবর খুলনার সব রুটে বাস বন্ধ থাকবে।
ময়মনসিংহে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের আগেও বাস বন্ধ হয়েছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘অফিশিয়ালি আমরা জানি না। পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা কখন ধর্মঘট করে আমরা জানি না।’
ঢাকায় নিরাপদ সড়কের গুরুত্ব তুলে ধরে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘সবাইকে আইন মেনে চলতে হবে। আমাদের যে জনবল রয়েছে, দেশের ১৭ কোটি মানুষের জন্য যথেষ্ট নয়। আমরা সবাই যদি আইন মেনে চলি, তাহলে কোনো জনবলেরই দরকার হয় না। আইন মেনে যদি সড়কে চলি, তাহলে কোনো দুর্ঘটনা ঘটবে না।
‘আইন না মানলে শাস্তির আওতায় আনছি। আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটরা পদক্ষেপ নিচ্ছে’ জেলা-উপজেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা পদক্ষেপ নিচ্ছে, হাইওয়ে পুলিশ রয়েছে।’
সড়ককে নিরাপদ করতে মালিক সমিতির দায়িত্ব রয়েছে বলে জানান বিআরটিএ চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, ‘শ্রমিক সংগঠনেরও দায়িত্ব রয়েছে, সড়ক বিভাগেরও দায়িত্ব রয়েছে ত্রুটিপূর্ণ রাস্তা ত্রুটিমুক্ত করতে। পথচারী, যাত্রীদেরও দায়িত্ব রয়েছে। সব স্টেকহোল্ডার যদি ইতিবাচক না হয়, তাহলে গণপরিবহনে সফলতা আনা কঠিন।’
সড়ক নিরাপদ করতে ১১১ সুপারিশের অধিকাংশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে মনে করেন নূর মোহাম্মাদ।
তিনি বলেন, ‘বাকিগুলো বাস্তবায়নাধীন। যে সুপারিশ রয়েছে সেগুলোতে সব স্টেকহোল্ডারই দায়বদ্ধ। টার্মিনাল, বিশ্রামাগার তৈরির কাজ চলছে।’
এদিকে বাস ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছেন খুলনা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের বিপুলসংখ্যক যাত্রী। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বিভিন্ন পরিবহনের হাজারো শ্রমিক।
খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বিপ্লব জানান, খুলনা শহরের সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন ১৮টি রুটে প্রায় এক হাজার ২০০টি বাস চলাচল করে। তাতে দৈনিক লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করেন। বাস বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন তারা।
ধর্মঘটের বিষয়ে বিএনপি নেতারা বলছেন, তাদের কর্মসূচিতে জনসমাগম ঠেকাতেই সরকারের নির্দেশে বাস বন্ধ করা হয়েছে, তবে আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, এতে তাদের হাত নেই।