- নভেম্বর ৫, ২০২২
- লিড নিউস
- 231
নিউজ ডেস্কঃ উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষা (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় সিলেট বোর্ডে থেকে অংশ নিচ্ছে ৬৭ হাজার ৫২৬ জন পরীক্ষার্থী।
রোববার (০৫ নভেম্বর) থেকে সারা দেশের মতো সিলেট বোর্ডের অধীনস্থ বিভাগের চার জেলায় ৩০৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এসব ছাত্র-ছাত্রী ৮৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসবেন।
এবার পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছেলে ২৯ হাজার ১৫৪ এবং মেয়ে ৩৮ হাজার ৩৭২ জন। এরমধ্যে রয়েছে বিজ্ঞান বিভাগের ১২ হাজার ২৬৫ জন (ছেলে-৫,৭২৭ ও মেয়ে-৬,৫৩৮), মানবিকে ৪৫ হাজার ৪০৯ (ছেলে-১৮,৪৪৯ ও মেয়ে-২৬,৯৬০) এবং ব্যবসায় ৯ হাজার ৮৫২ জন (ছেলে-৪,৯৭৮ এবং মেয়ে-৪৮৭৪)।
বোর্ডে নিয়মিত পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৬৪ হাজার ৫০৭ জন, বিভিন্ন বিষয়ে রেফার্ড পরীক্ষা দেবে ২ হাজার ১২৩ জন এবং অনিয়মিত সব বিষয়ে ৭৮৯ জন। এছাড়া মানোন্নয়নের জন্য ৩৮ জন এবং প্রাইভেট পরীক্ষার্থী রয়েছেন ৬৯ জন।
বিভাগের মধ্যে সিলেট জেলায় ১৪৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২৯ হাজার ৪২৩ শিক্ষার্থী ৩৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসবেন। এরমধ্যে ছেলে ১৩ হাজার ১১৮ এবং মেয়ে ১৬ হাজার ৩০৫ জন।
হবিগঞ্জ জেলায় ৪৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১১ হাজার ৮০১ জন পরীক্ষার্থী ১৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবে। এরমধ্যে ছেলে ৫ হাজার ৪০ এবং মেয়ে ৬ হাজার ৭৬১ জন।
মৌলভীবাজার জেলায় ৪৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৩ হাজার ৮৫১ পরীক্ষার্থী ১৪টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসবে। এরমধ্যে ছেলে ৫ হাজার ৬৭৬ এবং মেয়ে ৮ হাজার ১৭৫ জন।
হাওর অধ্যুষিত সুনামগঞ্জ জেলায় ৬০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১২ হাজার ৪৬১ পরীক্ষার্থী ২১টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবেন। এরমধ্যে ছেলে ৫ হাজার ৩২০ এবং মেয়ে ৭ হাজার ১৩১ জন।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর অরুণ চন্দ্র পাল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী সংখ্যা কমেছে। গত বছর বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিল ৬৭ হাজার ৯৮৫ জন।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সচিব মো. কবীর আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, নকলমুক্ত সুন্দর পরিবেশে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কেন্দ্রগুলোতে পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। এবার বোর্ডের ইন্টারনাল (অভ্যন্তরীণ) চার সদস্যের ৭টি ভিজিল্যান্স টিম এবং এক সদস্যের করে ২৬টি এক্সটার্নাল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।
তিনি বলেন, অনিয়মিত পরীক্ষার্থী সংখ্যা কমে যাওয়া গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী সংখ্যা কমার অন্যতম কারণ। অনিয়মিতরা বেশিরভাগ কৃতকার্য হওয়ার কারণে শিক্ষার্থী সংখ্যা কমেছে। তবে নিয়মিত পরীক্ষার্থী সংখ্যা কমেনি।
এদিকে, সিলেট মেট্টোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) কমিশনার নিশারুল আরিফ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রকে অস্থায়ীভাবে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রের ২০০ গজের শান্তিশৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এরমধ্যে রয়েছে জনসমাবেশ, মিছিল, ঢাকঢোল বাজানো, লাউড স্পিকার ব্যবহার, অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, ইট পাথর বহন, ব্যবহার ইত্যাদি।
রোববার (৬ নভেম্বর) থেকে (১৩ ডিসেম্বর) পরীক্ষা চলাকালীন প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকবে।
এইচএসসি পরীক্ষায় সিলেট বোর্ড নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে পরীক্ষা কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ পরিচালিত হবে। কক্ষে চারজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হাবিবা বাছিত, মেন্টেইন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার কেএম জুবায়ের আরেফিন, সেকশন অফিসার মো. মশাহিদ আলী ও উচ্চমান সহকারী রাবেয়া বেগম।
এছাড়া, এইচএসসি, আলিম, ভোকেশনাল পরীক্ষা নির্বিঘ্ন ও সুষ্ঠু করতে সিলেট নগরের ২০টি এলাকাকে অস্থায়ীভাবে ‘সংরক্ষিত এলাকা’হিসেবে ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
এসএমপি’র আওতাধীন পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো হচ্ছে- সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা, মঈনুন্নেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মদন মোহন কলেজ, ব্লুবার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, শাহ খুররম ডিগ্রি কলেজ, মঈনউদ্দিন আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজ, সোনাতলা সিরাজুল ইসলাম আলিম মাদ্রাসা, আম্বরখানা গালর্স উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, পাঠানটুলা দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়, সিলেট সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সিলেট ক্যাডেট কলেজ, দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজ, রেবতী রমন উচ্চ বিদ্যালয়, শাহপরাণ সরকারি কলেজ, ইছরাব আলী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, নুরজাহান মেমোরিয়াল মহিলা কলেজ, কুচাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোহাম্মদ মকন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, জালালপুর ডিগ্রি কলেজ, সিলেট সরকারি কলেজ, মোহাম্মদ রাজা চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়, এমসি কলেজ, কারীগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, জালালিয়া সিনিয়র ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা, সিলেট ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও জালালপুর উচ্চ বিদ্যালয়।
এবারও সংশোধিত ও পুনঃবিন্যাসকৃত সিলেবাসে দুটি আবশ্যিক, তিনটি নৈর্বাচনিক এবং চতুর্থ বিষয়ে পরীক্ষা হবে। বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীদের এমসিকিউ ২৫টি প্রশ্নের ১৫টির উত্তর দিতে হবে। সময় থাকবে ২০ মিনিট। তত্ত্বীয় পরীক্ষায় ৮টি প্রশ্নের ৩টির উত্তর দিতে হবে, সময় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট।
অন্যদিকে, মানবিক ও ব্যবসায় শাখায় এমসিকিউ ৩০টির মধ্যে ১৫টির উত্তর দিতে হবে, সময় থাকবে ২০ মিনিট। তত্ত্বীয় পরীক্ষায় ১১টি প্রশ্নের মধ্যে ৪টির উত্তর দিতে হবে, সময় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট।