- নভেম্বর ২১, ২০২২
- লিড নিউস
- 207
নিউজ ডেস্ক: পড়া না পারায় সিলেটের গোলাপগঞ্জে ১৩ বছর বয়সী এক মাদ্রাসা ছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে শাফি আহমদ নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। নির্যাতনে আহত ছাত্রকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় নির্যাতিত শিশুটির পরিবার গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক সাফি আহমদের বাড়ি উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ফুলবাড়ি টিকরপাড়া গ্রামে। তিনি গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের রাণাপিং চন্দনভাগ গ্রামের আয়শা সিদ্দিকা (রা.) ইন্টা. তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসার শিক্ষক।
নির্যাতিত ছাত্রের অভিভাবক সূত্রে জানা যায়, রোববার সন্ধ্যায় হিফজ বিভাগের ওই ছাত্র রুটিন মোতাবেক পড়া মুখস্ত বলতে না পারার অজুহাতে বেদম বেত দিয়ে প্রহার করে তাকে মারাত্মক জখম করেন ওই মাদ্রাসার শিক্ষক শাফি আহমদ। এতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। এ ঘটনার পর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ছাত্রের কোন অভিভাবককে অবগত না করে এবং কোন প্রকার চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে ছাত্রকে ভয় ভীতি দেখিয়ে মাদ্রাসায় আটকিয়ে রাখে। এরপর ওইদিন রাতে এশার নামাজের সময় ছাত্রটি সুযোগ বুঝে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যায়। মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে গেলেও অভিভাবকদের বিষয়টি জানায়নি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বা ওই শিক্ষক।
এরপর রাত ৯টার দিকে মাদ্রাসায় গিয়ে ছাত্রের এক অভিভাবক জানতে পারেন, সে মাদ্রাসায় নেই। পরে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে গ্রামের একটি দোকানে আশ্রিত অবস্থায় পান। এরপর সে নির্যাতনের ঘটনাটি অভিভাবকদের খুলে বলে।
এ ব্যাপারে আয়শা সিদ্দিকা (রা.) ইন্টা. তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসার মুহতামিম হাফিজ বদরুল হকের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে বার বার যোগাযোগ করেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমি অবগত আছি। ওই ছাত্রের পক্ষ থেকে এখনো কেউ কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি। যদি কোন অভিযোগ দেওয়া হয় তাহলে আমরা তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।