- ডিসেম্বর ১৫, ২০২২
- জাতীয়
- 336
নিউজ ডেস্কঃ রাজধানীর শাহীনবাগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি বলেন, আওয়ামী দুঃশাসনের যে অপরাজনীতি, তা থেকে বাংলাদেশের কেউ তো নয় বিদেশিরাও আজকে নিরাপদ নয়। মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে হেনস্তার ঘটনায় সরকার জড়িত।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রিন্স বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ব্যাপক ক্ষুণ্ণ হবে। বাংলাদেশে যে আজকে গণতন্ত্র নেই, আইনের শাসন নেই, মানবাধিকার নেই, এখানে যে অপশাসন চলছে সেটা আরও ফুটে উঠবে।
সরকারের মদদে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে হেনস্তা করা হয়েছে দাবি করে প্রিন্স বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এই ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে ভাষায় বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে প্রমাণ করে এর সঙ্গে তারা জড়িত। তারাই উস্কানি দিয়ে, সেখানে লোক পাঠিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পতাকাবাহী গাড়িতে আঘাত করিয়েছে। রাষ্ট্রদূতকে হেনস্তা করা হয়েছে। এর আগেরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গাড়িতে এই সরকারের নির্দেশে হামলা করা হয়েছে। এই কথা কেউ ভুলে যায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ ও সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুসহ আরও অনেকে।
উল্লেখ্য, বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে নিখোঁজ বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাসায় যান মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সকাল ৯টা ৫ মিনিটে সুমনের বাসায় প্রবেশ করেন তিনি। প্রায় ২৫ মিনিট তিনি সেখানে অবস্থান করেন। এরপর তিনি ওই বাসা থেকে বেরিয়ে যান।
সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সময় প্রায় ৪৫ বছর আগের গুমের ঘটনা ও সামরিক শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের কাছে স্মারকলিপি দেয় ‘মায়ের কান্না’ নামে একটি সংগঠন।
প্রশ্ন উঠেছে, মার্কিন দূত সেখানে যাবেন তা এই সংগঠনের সদস্যরা জানলেন কীভাবে, কে বা কারা তাদের সেখানে পাঠালেন?