• ডিসেম্বর ২৮, ২০২২
  • শীর্ষ খবর
  • 169
ইফা’র শিক্ষকদের করোনকালীন অবদান জাতি কখনো ভুলবে না: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

সিলেট প্রতিনিধিঃ ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খাঁন এমপি-কে কাছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমে কর্মরত শিক্ষক- শিক্ষিকাদের নিয়োগ স্থায়ীকরণের দাবিতে মউশিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ বাংলাদেশ সিলেট বিভাগীয় কমিটি নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় সিলেট নগরীর পূর্ব শাহী ঈদগাহস্থ ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমীতে নেতৃবৃন্দ মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে এ স্মারকলিপি প্রদান।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খাঁন এমপি স্মারকলিপি গ্রহণ করে বলেন, করোনাকালীন সময়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের শিক্ষকবৃন্দ যে অবদান রেখেছেন তা জাতি কখনো ভুলতে পারবে না। তাছাড়া এ প্রকল্পের শিক্ষকগণ স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধি, শুদ্ধভাবে পবিত্র কুরআন শিক্ষা, বাল্যবিবাহ নারী নির্যাতন, মাদক ও জঙ্গীবাদ নির্মূলসহ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা, সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন, সিলেট বিভাগের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোঃ মাহবুবুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেট বিভাগীয় পরিচালক আবু সিদ্দিকুর রহমান, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমী সিলেটের পরিচালক শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মাওলানা যুবায়ের আল আজহারী, ফিল্ড অফিসার আব্দুল বাকী, মউশিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী মোহাম্মদ আবুল হোসাইন, সিলেট বিভাগীয় আহবায়ক কে.এম. মিনহাজ, সদস্য সচিব আব্দুল হাকিম, সিলেট জেলা কমিটি সভাপতি হাফিজ মাওলানা নওফল আহমদ, সেক্রেটারী মাওলানা আবিদ হাসান, সিলেট মহানগরের আহবায়ক ক্বারী মাওলানা ইদ্রিস আহমদ জাকারিয়া, মৌলভীবাজার জেলা আহবায়ক শেখ মাওলানা ফয়জুল ইসলাম সিদ্দিকী, সিলেট জেলা সদস্য মাওলানা আব্দুল মুহিত প্রমুখ।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ইসলামের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালের ২২ শে মার্চ মহান স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজ উদ্যোগে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন এবং বিগত ১৯৯৬ সালে- ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশ রতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর অদ্য পর্যন্ত ০৫ (পাঁচ) বছর মেয়াদে ‘মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম’ প্রকল্পটি অতি সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সর্ববৃহৎ গুরুত্বপূর্ণ ও জননন্দিত এ প্রকল্পের শিক্ষক/ শিক্ষিকাগণ মসজিদ-ভিত্তিক প্রাক-প্রাথমিক, সহজ কুরআন শিক্ষা ও বয়স্ক শিক্ষার্থীদের কুরআন, বাংলা, গণিত, ইংরেজী, আরবি, সামাজিক নৈতিকতা ও ইসলামি মূল্যবোধসহ বিভিন্ন বিষয়ে পাঠদান করে আসছেন। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তার ও কোর্স সম্পন্নকারী ছাত্র/ ছাত্রীদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত, স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধি, শুদ্ধভাবে পবিত্র কুরআন শিক্ষা, বাল্যবিবাহ নারী নির্যাতন, মাদক ও জঙ্গীবাদ নির্মূলসহ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা, সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমান প্রকল্পটির আওতায় সহজ কুরআন শিক্ষা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ও বয়স্ক শিক্ষাসহ সারা বাংলাদেশে মোট ৭৩,৭৬৮টি (তিয়াত্তুর হাজার সাত শত আটষট্টি) কেন্দ্রে শিক্ষক/ শিক্ষিকাগণের আওতায় ২৪,১৪,২০০/= (চব্বিশ লক্ষ চৌদ্দ হাজার দুই শত) ছাত্র/ছাত্রী শিক্ষা গ্রহণ করছে।

উক্ত প্রকল্পের সুবিধাভোগী সমাজের অবহেলিত, দারিদ্র নিরক্ষর জনগোষ্ঠীর অবস্থা বিবেচনা করে মহান স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আওতায় এই প্রকল্পটি বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাতের উদ্দেশ্যে উপহার স্বরুপ শিক্ষক/ শিক্ষিকাদের নিয়োগ স্থায়ী করার নিমিত্তে মহান জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করার জন্য ধর্ম প্রতিমন্ত্রী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নেতৃবৃন্দ।