• জানুয়ারি ১, ২০২৩
  • লিড নিউস
  • 166
ইতিহাস গড়ে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের নেতৃত্বে হাসিনা, বিপুল ভোট পেয়ে বিজয়ী নবেল

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এ নির্বাচনে ইতিহাস গড়ে বিজয়ী হয়েছেন হাসিনা বেগম চৌধুরী। আর বিপুল ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে জয় পেয়েছেন শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী নবেল বিজয়ী হয়েছেন। হাসিনা বেগম চৌধুরীর বিজয়ের মধ্যে দিয়ে প্রথমবারের মতো কোনো নারী সভাপতি পেলো সিলেট জেলা প্রেসক্লাব। আর এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক হলেন নবেল।

সাংবাদিক অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন শীরুর সহধর্মীনি ও সিলেটের প্রাচীনতম সংবাদপত্র দৈনিক যুগভেরীর সিনিয়র রিপোর্টার হাসিনা বেগম সিলেটের প্রবীণ সাংবাদিক অধ্যক্ষ লিয়াকত শাহ্ ফরিদীকে মাত্র ৩ ভোটে পরাজিত করেছেন। শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী নবেল দেবাশীষ দেবুকে ৩৬ ভোটে পরাজিত করেছেন।

সিলেট নগরীর পূর্ব জিন্দাবাজারের বারুতখানাস্থ সিলমার্ট কমপ্লেক্সে সিলেট জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা আর উৎসবমুখর পরিবেশে এ নির্বাচন হয়। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে সিলেটের সর্বস্তরের রাজনীতিবিদ, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সুধী সমাজের প্রতিনিধিরা নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। এসময় সিলেট জেলা প্রেসক্লাব বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়।

সিলেট জেলা প্রেসক্লাব নির্বাচনে কে কতো ভোট পেলেন :
সভাপতি পদে লিয়াকত শাহ ফরিদী ৫৫ ভোট ও হাসিনা বেগম চৌধুরী পেয়েছেন ৫৮ ভোট। সহসভাপতি (প্রথম) পদে এস. সুটন সিংহ পেয়েছেন ১০ ভোট, মনিরুজ্জামান মনির ৫৬ ভোট ও মুকিত রহমানী ৪৯ ভোট।

সহসভাপতি (দ্বিতীয়) সজল ঘোষ পেয়েছেন ৫৩ ভোট ও সাঈদ চৌধুরী টিপু ৬১ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে দেবাশীষ দেবু পেয়েছেন ৩৯ ভোট ও শাহ দিদার আলম নবেল ৭৫ ভোট। সহসাধারণ সম্পাদক পদে মো আব্দুল কাইয়ুম পেয়েছেন ৫০ ভোট ও রবি কিরণ সিংহ (মাইস্লাম রাজেশ) ৬২ ভোট। কোষাধ্যক্ষ পদে আনন্দ সরকার পেয়েছেন ৭৩ ভোট ও সাদিকুর রহমান সাকী ৪২ ভোট। ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে ইউসুফ আলী পেয়েছেন ৩২ ভোট ও মিঠু দাস জয় ৭৯ ভোট। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মো. একরাম হোসেন ৫৩ ভোট ও সুলতান সুমন পেয়েছেন ৫৬ ভোট। তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে মো. এনামুল কবীর পেয়েছেন ৫৪ ভোট ও রায়হান উদ্দিন ৪৯ ভোট। পাঠাগার সম্পাদক পদে মো. আলী আকবর চৌধুরী কোহিনূর পেয়েছেন ৫৩ ভোট ও মো. আবু বক্কর ৫৪ ভোট। দপ্তর সম্পাদক পদে মো. আব্দুল আহাদ ৫৩ ভোট ও মনিরুজ্জামান রনি পেয়েছেন ৪৯ ভোট।

নির্বাহী সদস্য পদে (নির্বাচিত হবেন ৪ জন) মো. আনোয়ার হোসেন ৫৭ ভোট, এ এইচ আরিফ ৪৩ ভোট, মো ছয়ফুল আলম অপু ৩৪ ভোট, মাহমুদ হোসেন ৬০ ভোট, রনজিৎ কুমার সিংহ ৫৬ ভোট, মো. শাহীন আহমদ পেয়েছেন ৬৮ ভোট।

অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে দু’টি প্যানেল ও স্বতন্ত্রসহ ২৯ জন প্রার্থী অংশ নেন। নির্বাচন পরিচালনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ছিলেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ কে এম শমিউল আলম। এছাড়া নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট মহানগর ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ভবতোষ রায় বর্মন ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেট-এর সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী। ভোটগণনা শেষে সন্ধ্যায় তারা ফলাফল ঘোষণা করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য চৌধুরী মুমতাজ আহমদ, বর্তমান কমিটির সভাপতি আল আজাদ, সিনিয়র সহসভাপতি মঈন উদ্দিন, সহসভাপতি এস. সুটন সিংহ, সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ, কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য সিটি কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ ও আবুল মোহাম্মদ, সহসাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রাসেল, কোষাধ্যক্ষ মিসবাহ উদ্দীন আহমদ, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক শংকর দাস, দপ্তর সম্পাদক এস এম সুজন, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সুলতান সুমন, কার্যনির্বাহী পরিষদের অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন প্রথম সদস্য ইউসুফ আলী, মাহমুদ হোসেন ও প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মিঠু দাস জয়।

অন্যদিকে উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হওয়া সিলেট জেলা প্রেসক্লাব নির্বাচন পরিদর্শন করেছেন সিলেটের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশা ব্যক্তিবর্গ। নির্বাচন চলাকালে ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য চৌধুরী মুমতাজ আহমদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা বিভাগীয় প্রধান ও হেপাটোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সিটি কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, সিলেট আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আরমান আহমদ শিপলু, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক ও সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার আবদুল করিম চৌধুরী কিম, মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার সামছুদ্দিন চৌধুরী, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী মাহমুদ, সিলেট মহানগর স্বেছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাশ মিঠু, সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশওয়ার জাহান সৌরভ, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ।