- জানুয়ারি ২, ২০২৩
- শীর্ষ খবর
- 335
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘অপরাধ নিয়ে আমরা শক্ত অবস্থানে রয়েছি। আশা করছি, চুরির ঘটনা আগের তুলনায় অনেক কমে আসবে।’
গত বছর সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় সংঘটিত চুরির ঘটনাগুলোর রহস্য উদঘাটন করতে পেরেছে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ।
গত ১ বছরে সুনামগঞ্জের সদর থানায় ৩৩টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ২৮টিরই রহস্য উন্মোচন ও আসামি গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ ছাড়া সুনামগঞ্জে চুরি ঠেকাতে বিশেষ টহলের পরিমাণও বাড়ানো হচ্ছে বলে গণ্যমাধ্যমকে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন কুমার মোদক।
রোববার বিকেলে চুরি যাওয়া একটি সিএনজিসহ দুই চোরকে আটক করে পুলিশ। এ নিয়ে করা এক সংবাদ সম্মেলনে জেলায় গত ১ বছরে সংঘটিত বিভিন্ন চুরির তথ্য তুলে ধরা হয়।
এ ছাড়া হাজির করা হয় সিএনজি চুরির ঘটনায় আটক সিলেটের জালালাবাদ থানার লামাগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মো. সাদ্দাম হোসেন ও সুনামগঞ্জের বড়পাড়া এলাকার আব্দুল আলিমের ছেলে শাহিনুর হোসেনকে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন কুমার মোদক জানান, গত এক বছরে সিলেট জেলায় ৩৩টি চুরির মামলার মধ্যে ২৮টি মামলাই নিষ্পত্তি হয়েছে। এসব মামলায় আটক করা হয়েছে ৫৪ জনকে। গরু, মোটরসাইকেল, সিএনজি চুরিসহ বিভিন্ন রকম চুরির তথ্য তুলে ধরা হয় এ সময়।
রিপন কুমার মোদক বলেন, ‘চুরি একা হয় না। একটা সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে এ জেলায় চুরি হয়ে থাকে। আমরা অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব বিষয়ের অ্যাকশন নেই। সবাইকে বলতে চাই, চুরি ঠেকাতে আমরা পুলিশি টহল বাড়িয়েছি। গোয়েন্দা মোবাইল টিমের পাশাপাশি পুলিশের সব ইউনিট চুরি বন্ধে কাজ করে যাবে।’
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘অপরাধ নিয়ে আমরা শক্ত অবস্থানে রয়েছি। আশা করছি, চুরির ঘটনা আগের তুলনায় অনেক কমে আসবে।’