• ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩
  • রাজনীতি
  • 219
আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দল তা সারা বিশ্বের কাছে প্রমাণিত: মির্জা ফখরুল

নিউজ ডেস্কঃ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে বাংলাদেশ গণতন্ত্র সম্মেলনের দাওয়াত পাচ্ছে না, এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক। এই সরকার বাংলাদেশের গণতন্ত্রের সব কিছু ধ্বংস করে দিয়েছে।

আজকে বলে দিতে চাই আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী দল। সেটা এখন পুরো বিশ্বের কাছে প্রমাণ হয়েছে। আমাদের সোজা কথা এ সরকারের অধীনে আর ‘কুত্তা’ মার্কা নির্বাচনে আমরা আর যাব না।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর গোপীবাগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি পূর্বক বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, আমরা হেঁটে পথযাত্রায় মানুষকে বার্তা দিয়ে যাব। আর সময় নেই রাজপথে নেমে আসতে হবে। অনেক হয়েছে এই সরকার বিনা ভোট মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন চালের দাম বাড়ছে, ডিম কিনেও খেতে পারছে না। নিত্যপণ্যের জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। কোথাও কোনো শান্তি নেই। দেশের সাধারণ মানুষ গরিব হচ্ছে, আর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ধনী হচ্ছে। এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করেছে, র‌্যাবকে ব্যবহার করেছিল তাদের ওপর স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দেওয়া হয়েছে। এখন তারা পুলিশকে ব্যবহার করছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের আন্দোলনের ১০ নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। রাত হলে পুলিশ পাড়ায় পাড়ায় আমাদের নেতাকর্মীদের আটক করছে। তবুও তারা আমাদের দমাতে পারছে না। কারণ বিএনপি ক্ষমতা যাওয়ার রাজনীতি করছে না, জনগণের অধিকার আদায়ের রাজনীতি করছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ এখন আমাদের আন্দোলনকে ভয় পায়। এখনো সময় আছে সরে যান। এ সরকারের পদত্যাগের দাবি এখন সারা বাংলাদেশের ছড়িয়ে পড়েছে। আন্দোলনে সব সময় দেশের জনগণ জয়ী হয়েছে, এবারও জয়ী হবে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে এ সংবিধান দিয়ে দেশ চলতে পারে না। আমাদের ২৭ দফার কথা বলেছি, এর মধ্যে রয়েছে সংবিধান সংশোধনও। সবার অংশগ্রহণে নির্বাচনের জন্য আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলেছি। চোরেরও একটা সীমা আছে, এ সরকারের সবকিছু ছাড়িয়ে গেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আজকে আন্দোলন একটি পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। আমরা গত কয়েক মাস ধরে রাস্তায় আন্দোলন করছি। বাংলাদেশের মানুষ তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলো ঢাকায় এসে বার্তা দিয়ে যাচ্ছে। তারা গণতন্ত্রের অধিকারের কথা বলে যাচ্ছে না। তারা বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না। বাংলাদেশ আজ গণতন্ত্র সম্মলেনে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। তাই আমাদের রাস্তায় সিদ্ধান্ত হবে।

পদযাত্রা কর্মসূচির আগে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও বাবুু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

কর্মসূচিতে আরও অংশ নেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি নেতা ফজলুল হক মিলন, রফিকুল আলম মজনু, ইশরাক হোসেনসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা