- ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩
- আন্তর্জাতিক
- 268
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর তুরস্কের এক বাড়িতে ঠাঁই নিয়েছিল পাঁচ শিশুসহ সাত সদস্যের সিরীয় এক পরিবার । ওই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রেহাই পেলেও শুক্রবার সে বাড়িতে আগুনে পুড়ে পরিবারটির সবার মৃত্যু হয়।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পের সময় তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বের শহর নুরদাগিতে ছিল সিরীয় পরিবারটি। পরে বাস্তুচ্যুত লাখো পরিবারের মতো সেখান থেকে মধ্য তুরস্কের কনিয়ায় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল তারা। সে বাড়িটিই অগ্নিদুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে মারা যান পাঁচ শিশু, আর তাদের বাবা-মা।
রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ছুঁইছুঁই। এএফপি বলছে, অঞ্চলটিতে গত কয়েক শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প ছিল সেটি।
কনিয়ার স্থানীয় বাসিন্দা মুহসিন চকির তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলুকে বলেন, ‘আমরা আগুন দেখেছি, তবে থামাতে পারিনি। জানালা দিয়ে এক মেয়ে শিশুকে কেবল উদ্ধার করা হয়।’
মৃত পাঁচ শিশুর বয়স চার থেকে ১৩ বছরের মধ্যে ছিল। আর উদ্ধার হওয়া মেয়েটি ওই পরিবারের কি না, তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি এএফপি।
তুরস্কে প্রায় ৪০ লাখ সিরীয় বাস করে, যাদের বেশিরভাগই দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে থাকে। এ অঞ্চলটি ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।