• ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩
  • মৌলভীবাজার
  • 252
স্কুলের মাঠে নির্মাণসামগ্রী, শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের ক্ষোভ

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাতগাঁও এলাকার মাধবপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে রাস্তা তৈরির সরঞ্জাম রেখে দুই-তৃতীয়াংশ জায়গা দখল করে রাখা হয়েছে। বিদ্যালয় চলাকালে ওই মাঠেই আগুন জ্বালিয়ে বিটুমিন গলানো হয়। এ কারণে কালো ধোঁয়ায় পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে শিক্ষার্থীদের। গ্রামের একমাত্র বড় এ মাঠ মাস দেড়েক ধরে দখলে থাকায় স্থানীয় শিশু–কিশোরেরা খেলাধুলা করতে পারছে না।

গত রোববার বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের দুই–তৃতীয়াংশ জায়গায় ইটের কংক্রিট, বালু, মাটি, এক্সকাভেটর, বিটুমিনের ড্রাম স্তূপ করে রাখা হয়েছে। বিটুমিন গলানোর জন্য বানানো চুলা স্থাপন করা হয়েছে বিদ্যালয় ভবনের পাশেই। এখানে আগুন জ্বালালে ধোঁয়া বিদ্যালয়ের ভবনে প্রবেশ করে। সারা মাঠে ছোট ছোট কংক্রিট ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে। এক্সকাভেটর ও অন্যান্য যন্ত্রপাতির ওপর লেখা আছে ‘মেসার্স মহিবুর রহমান, কুলাউড়া’।

স্থানীয় নতুনবাজার ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এ মাঠ পুরো গ্রামের একমাত্র বড় মাঠ। আমরা এখানে স্কুল ছুটির পর ক্রিকেট খেলি। অন্যারা ফুটবলসহ নানা খেলা খেলেন। এখানে মাঠে ক্রিকেটের পিচের ওপর বালুর ঢিবি করে রাখা হয়েছে। মাঠের অর্ধেকের বেশি জায়গা দখল হয়ে গেছে। এখানে মালামাল রেখে দূর-দূরান্তের রাস্তার কাজ করা হচ্ছে। আমরা খেলাধুলা করতে পারছি না।’

স্থানীয় এক কিশোর বলে, ‘মাঠে খালি পায়ে হাঁটা যায় না। ইটের টুকরা পায়ে লাগে। অনেক ব্যথা পাই। আমরা দেড় মাস ধরে খেলতে পারছি না।’

মাধবপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিমা বেগম বলেন, প্রায় দেড় মাস ধরে বিদ্যালয়ের মাঠের বড় অংশ দখল করে এখানে রাস্তার কাজের ইট, বালি, বিটুমিন, মেশিনসহ জিনিসপত্র রাখা হয়েছে। স্কুল চলাকালীন সময়েও তাঁরা বিটুমিন জ্বাল দেন। অনেক কালো ধোঁয়া হয়। তা ছাড়া পুরো মাঠেই ইটের টুকরা পড়ে আছে। বাচ্চারা এখানে খেলাধুলা করতে পারে না। তিনি বলেন, ‘এখানে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের বারবার বলেছি যেন মালামাল সরিয়ে নেন। কিন্তু তাঁরা কাল-পরশু করে করে এখানেই মালামাল রাখেন। আমরা স্কুল ছুটির পর চলে গেলে সব এখানে এনে ফেলেন। রাস্তার কাজ হচ্ছে বহু দূরে, এখানে মালামাল রাখার যৌক্তিকতা নেই।’

শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইউসুফ হোসেন খান মুঠোফোনে বলেন, ‘রাস্তার কাজের জন্য স্কুলের মাঠে মালামালগুলো রাখা হয়েছিল। দুই তিন দিনের মধ্যে সরিয়ে ফেলা হবে। স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ফোন করে বলেছি, তিনি যেন শিক্ষার্থীদের সাবধানে চলাচল করতে বলেন।’