- মার্চ ১৩, ২০২৩
- জাতীয়
- 164
নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর রেস্তোরাঁ ব্র্যান্ড সুলতান’স ডাইনের কাচ্চি বিরিয়ানিতে খাসির মাংসের বদলে অন্য প্রাণির মাংস দেওয়ার অভিযোগের প্রমাণ পায়নি সরকারি সংস্থা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
রেস্তোরাঁটির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সরকারি পরিচালক মো. আবদুল জব্বার মণ্ডল। আজ সোমবার তিনি তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, কাচ্চি বিরিয়ানিতে খাসি বাদে অন্য প্রাণির মাংসের ব্যবহার সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় প্রতিষ্ঠান সুলতান’স ডাইনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া যেতে পারে।
গত সপ্তাহে রাজধানীর সুলতান’স ডাইনের বিরুদ্ধে কাচ্চি বিরিয়ানিতে খাসির মাংসের বদলে অন্য প্রাণির মাংস দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির কাচ্চি বিরিয়ানিতে কুকুরের মাংস দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গত বৃহস্পতিবার রেস্তোরাঁটির গুলশান-২ শাখায় অভিযান চালায়। সুলতান’স ডাইনে সেই অভিযানের নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল জব্বার মণ্ডল।
আজ সোমবার অধিদপ্তরের শুনানিতে উপস্থিত হয়ে সুলতান’স ডাইনের পক্ষে মহাব্যবস্থাপক, সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও গুলশান-২ শাখার ব্যবস্থাপক মৌখিক ও লিখিত বক্তব্য দেন। এসব তথ্য উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, সুলতান’স ডাইনকে কাপ্তানবাজারের মা-বাবার দোয়া গোশত বিতান নামের একটি প্রতিষ্ঠান খাসির মাংস সরবরাহ করে থাকে। কাপ্তানবাজারে খাসি জবাইয়ের সময় সুলতান’স ডাইনের প্রতিনিধিরাও মাঝেমধ্যে উপস্থিত থাকেন। ৯ মার্চ রেস্তোরাঁটির ব্যবস্থাপক ১৫০ কেজি খাসির মাংস সংগ্রহের কথা মৌখিকভাবে জানান। যদিও মাংস সরবরাহকারী জানান, তারা ১২৫ কেজি খাসির মাংস সরবরাহ করেছেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শুনানিতে সন্দেহযুক্ত চিকন হাড়ের ব্যাপারে সুলতান’স ডাইনের প্রতিনিধিরা জানান, ৭ থেকে ৯ কেজি ওজনের খাসির মাংস তারা কাচ্চি বিরিয়ানিতে ব্যবহার করেন। আকারে ছোট হওয়ার কারণে এই খাসির হাড় চিকন হয়। অন্যদিকে যে মুঠোফোন নম্বর থেকে রেস্তোরাঁটির বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল, সেটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
আবদুল জব্বার মণ্ডল গণমাধ্যমকে বলেন, সুলতান’স ডাইনে সরেজমিন তদন্ত ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের বক্তব্য পর্যালোচনা করে অধিদপ্তর তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।