- এপ্রিল ৩০, ২০২৩
- জাতীয়
- 317
নিউজ ডেস্কঃ দীর্ঘ প্রতীক্ষার প্রহর কাটিয়ে আজ শুরু হলো এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। প্রথম দিন রবিবার (৩০ মার্চ) নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে বাংলা (আবশিক) প্রথম পত্র, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে কুরআন মাজিদ ও তাজভিদ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা হচ্ছে। পরীক্ষা শুরু হয়েছে সকাল ১০টায়, শেষ হবে দুপুর ১টায়।
রাজধানীর কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, যানজট ও নানা সমস্যার কথা মাথায় রেখে পরীক্ষার্থীদের নিয়ে সকাল ৮টা থেকেই কেন্দ্রে আসতে থাকেন অভিভাবকরা। ৯টার দিকে পরীক্ষার্থী আর অভিভাবকদের ভিড় ছিল সব কেন্দ্রের সামনেই। আধা ঘণ্টা আগে সাড়ে ৯টা থেকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় পরীক্ষার্থীদের।
এবার নয়টি সাধারণসহ মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে ১১টি বোর্ডের অধীনে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসার কথা। যা গতবারের থেকে ৫০ হাজার ২৯৫ জন বেশি। এর মধ্যে ছাত্রী বেড়েছে ৩৮ হাজার ৬০৯ জন। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ জন ছাত্র এবং ছাত্রী ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন।
নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬ লাখ ৪৯ হাজার ২৭৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৮৭০ জন এবং ছাত্রী ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৪০৫ জন। আর মাদ্রাসা বোর্ডের ২ লাখ ৯৫ হাজার ১২১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯৯৩ জন এবং ছাত্র ১ লাখ ৫১ হাজার ১২৮ জন।
অপরদিকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি/দাখিলে (ভোকেশনাল) মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৬৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে। এর মধ্যে ৯৭ হাজার ৩৩৪ জন ছাত্র আর ছাত্রী ৩০ হাজার ৪৩৩ জন।
এ ছাড়াও এ বছর দেশের বাইরে আটটি কেন্দ্র হচ্ছে এসএসসি ও সমানের পরীক্ষা। এর মধ্যে জেদ্দায় পরীক্ষায় অংশ নেবে ৮৯ জন, রিয়াদে ৫১ জন, ত্রিপলিতে চারজন, দোহায় ৭৭ জন, আবুধাবীতে ৪১ জন, দুবাইতে ২৭ জন, বাহরাইনে ৬৫ জন এবং সাহামে (ওমান) ২০ জন।
এ বছর ২৯ হাজার ৭৯৮টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৩ হাজার ৮১০টি কেন্দ্রে এবার পরীক্ষা হবে। গত বছরের চেয়ে এবার প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২০৭টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ২০টি।
করোনার আগে সাধারণত ফেব্রুয়ারিতে এই পরীক্ষা শুরু হতো। করোনা ও বন্যার কারণে সাত মাস পিছিয়ে ২০২২ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয় ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এপ্রিলে নেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিল সরকার।
করোনার প্রভাব কাটিয়ে এবার পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে হবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে তা সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচিতে।