- মে ৩, ২০২৩
- শীর্ষ খবর
- 235
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জে পৃথক দুটি ঘটনায় ধর্ষণের শিকার হয়েছে দুই ছাত্রী।
সোমবার রাতে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কুরবারনগর ইউনিয়নের শেখেরগাঁওয়ের বাসিন্দা ৪৫ বছর বয়সী হাবিবের নামে সুনামগঞ্জ সদর থানায় ধর্ষণ মামলা হয়েছে।
অন্যদিকে, সদর উপজেলার আফতার নগরে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে তিনদিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ওই গ্রামেরই ২২ বছরের নয়ন মিয়ার বিরুদ্ধে।
এই দুটি ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে সুনামগঞ্জ সদর থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
সুনামগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ঘটনা দুটির সতত্যা নিশ্চিত করেছেন।
প্রথম ঘটনার খোঁজ নিয়ে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ভোক্তভুগীকে বাড়ি থেকে সোমবার মধ্যরাতে তুলে নিয়ে যায় গ্রাম্য কবিরাজ হাবিব। পরে শেখেরগাঁও গ্রামে নিজ বাড়িতে নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে সে। ঘটনা জানতে পেরে মেয়েটির পরিবার পরদিন মঙ্গলবার বিকালে হাবিবের বাড়ি থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
কবিরাজ হাবিব এর আগে আরও ৪টি বিয়ে করেছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, গত ২৪ এপ্রিল আফতাব নগর গ্রামের বাসিন্দা নয়ন মিয়া ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসাছাত্রীকে গাড়ীতে তুলে সিলেট নিয়ে যায়। সেখানে তিনদিন পালাক্রমে ধর্ষণের শিকার হয় ওই ছাত্রী। সেই সঙ্গে তাকে শারীরিক নির্যাতনও করা হয়।
এ ঘটনায় ২৫ এপ্রিল মেয়েটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না উল্লেখ করে সুনামগঞ্জ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে পরিবার।
এরপর গ্রাম্য সালিশের পর ২৭ এপ্রিল মেয়েটিকে ফিরে পায় পরিবার। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত নয়ন মিয়ার পরিবার ও গ্রামবাসী ভুক্তোভোগীর পরিবারকে থানা থেকে সাধারণ ডায়েরি তুলে নিতে ভয়ভীতি দেখায় বলে জানা গেছে। ভয়ে মেয়েটির পরিবার থানায় দেয়া সাধারণ ডায়েরির আবেদনটি প্রত্যাহার করে নেয়।
পরে ২ মে মেয়েটি ফের অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে ওই রাতেই সুনামগঞ্জ সদর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে পরিবার।
এ দুটি ঘটনায় এখনও (বুধবার বেলা ২টা পর্যন্ত) অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, ‘দুটি ঘটনায়ই মামলা হয়েছে।’ আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।