- মে ৩, ২০২৩
- শীর্ষ খবর
- 221
নিউজ ডেস্কঃ সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ আবদুল হানিফ ওরফে কুটু।
গতকাল মঙ্গলবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তিনি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
সিলেট সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের স্টাফ কর্মকর্তা ও জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মোহাম্মদ আবদুল হানিফের পর আজ বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত অন্য কেউ মেয়র পদের জন্য প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি।
সিলেটে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীর তালিকায় মোহাম্মদ আবদুল হানিফ ছিলেন না। তবে আশি ও নব্বইয়ের দশকে সিলেটের ছাত্রলীগের রাজনীতিতে তাঁর ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল। তিনি যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। বর্তমানে আবদুল হানিফ দলীয় কোনো পদে না থাকলেও দলের রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। তাই হঠাৎ তাঁর মনোনয়ন ফরম কেনার ঘটনায় দলের ভেতরে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
আবদুল হানিফ ১৯৮৬-৮৭ সালে ছাত্রলীগের ব্যানারে এমসি ইন্টারমিডিয়েট কলেজ ছাত্র সংসদে নির্বাচন করে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে ১৯৯১-৯২ সালে একই ছাত্রসংগঠনের ব্যানারে নির্বাচন করে তিনি সিলেট সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রসংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। আবদুল হানিফ ছাত্রলীগের সিলেট জেলার সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্যের পাশাপাশি যুবলীগ সিলেট জেলার সাবেক সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
টিলাগড় ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবদুল হানিফ বর্তমানে টিলাগড় বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর স্ত্রী নাজনীন আকতার সিলেট সিটির সংরক্ষিত ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান নারী কাউন্সিলর।
যোগাযোগ করলে আবদুল হানিফ বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীর তালিকায় ছিলাম না। কিন্তু যে পদ্ধতিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড সিলেট সিটিতে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে, সেটা গ্রহণযোগ্য নয়। দলের অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশী কিংবা নেতাদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলাপ না করেই প্রবাসী একজন ব্যক্তিকে এখানে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এতে দলের অনেকেই ক্ষুব্ধ হন। এরপর আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাই মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছি।’
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশনে ইভিএমে ভোট হবে। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৩ মে, বাছাই ২৫ মে ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১ জুন।