- মে ২০, ২০২৩
- মৌলভীবাজার
- 234
মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ রেল লাইনের ওপর পড়েছিল বড় আকারের সাতটির মতো গাছ। ভোররাতে চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন গাছগুলোকে রেল লাইন থেকে ঠেলে ঠেলে সরিয়েই সামনে এগিয়ে যাচ্ছিল।
মাঝারি আকারের গাছগুলো সরাতে পারলেও বড় একটি চিকরাশি গাছে আটকা পড়ে যায় ইঞ্জিন। গাছটিকে স্বাভাবিক গতিতে সরাতে গিয়ে উল্টে যায় ইঞ্জিন।
এর সঙ্গে যুক্ত সামনের দুটি বগিও উল্টে যায়।
শনিবার (২০ মে) ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান সীমানায় এভাবেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ট্রেনটি।
শ্রীমঙ্গলের রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশনমাস্টার শাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় ২০ কিলোমিটার গতিবেগ থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ট্রেনের অপর ১২টি বগি অক্ষত রয়েছে। সেগুলো অন্য ইঞ্জিনের মাধ্যমে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনে নিয়ে আনা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় প্রচণ্ড ঝড় বইছিল লাউয়াছড়া উদ্যানে। সেই ঝড়ে উদ্যানের ঝুঁকিপূর্ণ কয়েকটি গাছ ছিটকে পড়েছিল রেল লাইনে।
শনিবার (২০ মে) দুপুর ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রেল বিভাগের অনেক শ্রমিক রেল লাইন মেরামত করে রেল যোগাযোগ পুনস্থাপনের কাজে ব্যস্ত। বিশালাকৃতির চিকরাশি গাছের একটি অংশ বড় করাত দিয়ে ৪ জনে দু’দিক থেকে কাটছে। এসব দেখতে উৎসুক মানুষেরা জটলা বেঁধেছেন। টিলা বেয়ে উল্টে যাওয়া ইঞ্জিনের পাশে গিয়ে অনেকেই সেলফি তুলতে ব্যস্ত।
রেলওয়ের শ্রমিক মো. মহিদুল বলেন, গাছটা এতো বড় যে ৭০ টনের শক্তিশালী ইঞ্জিন এটাকে ধাক্কা দিয়ে সরাতে পারেনি। নিজেই উল্টে গেছে।
তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি সবার আগে ভোর সোয়া ৫টা ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। এসে জানতে পারি মাঝারি আকারের গাছগুলোকে ট্রেনের ইঞ্জিন সরিয়ে গিয়েও এ গাছটাকে পারেনি। এ গাছটি শতবর্ষী বলে শুনেছি। গাছটির নাম চিকরাশি।
‘কখন রেলযোগাযোগ চালু হবে’ -এ প্রশ্নের জবাবে শ্রীমঙ্গলের রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশনমাস্টার শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম থেকে ক্রেন সম্বলিত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রিলিফ ট্রেন চলে এসেছে। উল্টে যাওয়া বগি সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু হয়ে গেছে। রেল লাইন যত দ্রুত ঝুঁকিমুক্ত করে সারাদেশের সাথে ট্রেন যোগাযোগ চালু করা হবে।