• মে ২৫, ২০২৩
  • জাতীয়
  • 267
নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সং‌শ্লিষ্টদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি

নিউজ ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি বাংলাদেশের জনগণ, সরকার এবং নির্বাচনের সঙ্গে সং‌শ্লিষ্টদের জন্য প্রযোজ্য বলে জা‌নিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মা‌র্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

বৃহস্প‌তিবার (২৫ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণাল‌য়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মো‌মে‌নের স‌ঙ্গে বৈঠ‌কের পর সাংবা‌দিক‌দের মু‌খোমু‌খি হ‌য়ে এসব কথা ব‌লেন রাষ্ট্রদূত।

পিটার হাস বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানী‌তির ঘোষণা নি‌য়ে আমরা আলোচনা ক‌রে‌ছি। এটা প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের জনগণ, সরকার এবং যারা এই সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত তাদের জন্য প্রযোজ্য।

যুক্তরাষ্ট্র সবসময় গণতা‌ন্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়া‌কে সমর্থন ক‌রে ব‌লেও এসময় উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত হাস।

বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্যে বুধবার নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।

এর আগে দুপুরে গুলশানে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসায় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিদের স‌ঙ্গে বৈঠক ক‌রে‌ছেন।

পরে মার্কিন দূতাবাসের ফেসবু‌ক পেজে দেওয়া এক পো‌স্টে জানা‌নো হয়, আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে এমন ব্যক্তিদের ভিসা সীমিত করার এ নতুন ভিসা নীতি সবার জন্য প্রযোজ্য।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে যেসব ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বাধাগ্রস্ত করবে বা গণতান্ত্রিক ধারাকে ব্যাহত করার চেষ্টা করবে, তাদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ভিসা বিধিনিষেধ জারি করবে বলে জানান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।

বুধবার দেওয়া এক টুইটবার্তায় এ তথ্য জানান তিনি। পরে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়েও এ তথ্য নিশ্চিত করেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ৮ মিনিটে এক টুইটবার্তায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যকে সহায়তা করতে আমি আজ ইমিগ্রেশন অ‌্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের ২১২ (এ) (৩) (সি) (৩সি) ধারার আওতায় নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করছি। এই নীতির অধীনে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যেকোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে।