• জুন ৮, ২০২৩
  • শীর্ষ খবর
  • 141
হবিগঞ্জে লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জে অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। ‘আমরা হবিগঞ্জবাসী’ ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় শহরের প্রধান সড়কে প্রায় ৪০ মিনিট যান চলাচল বন্ধ ছিল।

পরে বিদ্যুৎ বিভাগ ও পুলিশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে আশ্বস্ত করলে অবরোধকারী ব্যক্তিরা তাঁদের এ কর্মসূচি স্থগিত করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, হবিগঞ্জ শহরে ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ার প্রতিবাদে আজ বেলা একটায় শহরের প্রধান সড়কের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। কর্মসূচিতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও নানা শ্রেণি-পেশার লোকজন অংশ নেন। কর্মসূচি চলাকালে আন্দোলনকারী ব্যক্তিরা হঠাৎ শহরের প্রধান সড়কে বসে পড়েন। এ সময় রাস্তার দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকে পড়ে।

এ সময় বক্তারা বলেন, হবিগঞ্জ শহরে প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। গ্রামাঞ্চলের মানুষের ভোগান্তি আরও বেশি। কিন্তু পাশের জেলাগুলোয় প্রতিদিন লোডশেডিং হয় দুই থেকে তিন ঘণ্টা। এ ছাড়া হবিগঞ্জ থেকে প্রতিদিন ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে দেওয়া হয়। তাহলে এ জেলার মানুষ কেন বিদ্যুৎ পায় না।

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল, হবিগঞ্জ জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মাসুদা খান, জেলা বাসদ সমন্বয়ক সফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

অবরোধ চলাকালে হবিগঞ্জ সদর থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ অবরোধকারী ব্যক্তিদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা হয় তাঁদের। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে যান হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান। তিনি এসে আন্দোলনকারী ব্যক্তিদের বলেন, হবিগঞ্জ শহরে প্রতিদিন ১৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। সেখানে প্রতিদিন মাত্র ৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছেন। এ দিয়ে বিদ্যুতের সবার চাহিদা পূরণ করা যাচ্ছে না। তিনি সবাইকে বিদ্যুতের ব্যবহারে আরও সাশ্রয়ী হতে অনুরোধ করেন।

পরে পুলিশ ও বিদ্যুৎ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুরোধে আন্দোলনকারী ব্যক্তিরা শহরের প্রধান সড়কে থেকে সরে যান। বেলা ১টা ৪০ মিনিটে জেলা শহরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।