- জুন ২২, ২০২৩
- জাতীয়
- 128
নিউজ ডেস্ক: গণ অধিকার পরিষদের নুরুল হক নুরের সঙ্গে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের তিন দফা বৈঠক হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান।
তিনি জানান, কাতার, দুবাই ও ভারতে তিন দফা বৈঠক হয়েছে বলে তাদের কাছে ছবি আছে। তবে, নুর যদি তা অস্বীকার করে থাকেন, সেটা ফিলিস্তিনের জন্য ভালো। যদি সত্য হয়ে থাকে, তাহলে এ ঘটনা বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্যও হুমকি।
তিনি আরও বলেন, ইসরাইল থেকে টাকা নেয়া মানুষ কখনও নেতা হতে পারে না। মোসাদ থেকে টাকা নেয়া কখনও বাংলাদেশের মানুষের জন্য কল্যাণকর নয়।
শীর্ষ নেতাদের পাল্টাপাল্টি বহিষ্কার নিয়ে টালমাটাল গণ অধিকার পরিষদ। গেল সোমবার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয় ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ খাঁনকে। এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান সংগঠনের আহ্বায়কের পদে থাকা ড. রেজা কিবরিয়া। পরে রাশেদ ও সদস্য সচিব পদ থেকে নুরুল হক নুরকে বহিষ্কার করেন তিনি। এ ঘটনার তদন্তে দলের অন্য একটি পক্ষ কমিটি গঠন করেছে।
ঘটনার শুরু যেভাবে
গত রবিবার রাজধানীর গুলশান-২-এ রেজা কিবরিয়ার বাসায় গণ অধিকার পরিষদের বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে রেজা কিবরিয়া কেন ফরহাদ মজহার ও শওকত মাহমুদের ইনসাফ কায়েম কমিটির অনুষ্ঠানে গিয়েছেন তা জানতে চান নুর। তখন রেজা কিবরিয়া নুরুল হকের কাছে জানতে চান, গণ অধিকার পরিষদের নামে প্রবাস থেকে আসা টাকার হিসাব কোথায়? কেন তিনি ইসরায়েলি মেন্দি এন সাফাদি ও তার ‘বাংলাদেশি বন্ধু’ শিপন কুমার বসুর সঙ্গে বৈঠক করেছেন?
পাল্টাপাল্টি প্রশ্নে শুরু হয় উত্তেজনা। শেষে সভা থেকে উঠে যান রেজা কিবরিয়া।
দলের একাধিক শীর্ষ নেতা বলেন, রেজা কিবরিয়া ও নুরের এই মতানৈক্য অনেকদিন থেকেই। নুর রেজা কিবরিয়াকে দল থেকে বের করার জন্য দীর্ঘদিন থেকে নানা কূটচাল করছেন। ফলে রেজা কিবরিয়া বিগত কয়েক মাস থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। তিনি সরকারবিরোধী বিভিন্ন সভা-সমাবেশে গেলেও গণ অধিকার পরিষদের সভা-সমাবেশে খুব একটা যাচ্ছেন না।
রেজা কিবরিয়ার অনুসারীরা জানান, দলটি চলে নুরের একক সিদ্ধান্তে। সেখানে রেজা কিবরিয়ার মতকে কোনো গুরুত্বই দেওয়া হতো না। আর নুরের নানা কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করায় তাকে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছিল। সেই ক্ষোভ থেকে তিনি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন।