• আগস্ট ২৬, ২০২৩
  • শীর্ষ খবর
  • 331
হবিগঞ্জে বিএনপির ৮৭ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতার মামলা

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনার এক সপ্তাহ পর বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে আজ শনিবার একটি মামলা হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের এক নেতা বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলায় ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে আরও দেড় শতাধিক নেতা-কর্মীকে।

বিএনপির বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৯ আগস্ট বিকেলে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। দুই ঘণ্টা চলতে থাকা এ ঘটনায় বিএনপির প্রায় ৩০০ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।

পরদিন ২০ আগস্ট বিকেলে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেন জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। প্রতিবাদ সভা শেষে মিছিলকারীরা শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় অবস্থিত জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সামনে টানানো ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়তে থাকেন। তখন বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে তাঁদের বাধা দিলে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে। পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে উভয় পক্ষের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।

আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষের এক সপ্তাহ পর আজ শনিবার মামলা করেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজিবকে।

সদর মডেল থানার পরিদর্শক বদিউজ্জামান বলেন, বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ৮৭ জনের নামে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও দেড় শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মারামারি অভিযোগে ও বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ২১ আগস্ট শহরে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করেন। তাঁদের হামলায় দলের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।

মামলা করতে এক সপ্তাহ কেন দেরির বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা মহিবুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের সময় তিনি নিজেও আহত হন। সুস্থ হয়ে মামলা করার উদ্যোগ নেন।

এর আগে বিএনপির কর্মসূচি পালন নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় গত সোমবার বিকেলে বিস্ফোরক আইনে ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ এনে দুটি মামলা করে পুলিশ। বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জি কে গউছসহ শতাধিক নেতার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও সহস্রাধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করে মামলা দুটি করা হয়।

বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫০০-৬০০ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলার মামলায় ৯৭ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬০০-৭০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা দুটিতে পুলিশের ৪০ জন সদস্য আহত এবং সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশকে ৯০০ গুলি ব্যবহার করতে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জি কে গউছ বলেন, পুলিশ ও আওয়ামী লীগ এক হয়ে মামলাগুলো করেছে। তাঁদের উদ্দেশ্যে বিএনপিকে মামলার ভয় দেখিয়ে মাঠ থেকে দূরে রাখা। তবে তাঁদের উদ্দেশ্যে সফল কবে না। কারণ মাঠের আন্দোলনকারীরা এসব মামলা মোকদ্দমার ভয়ে ভীত নয়। এগুলো আইনিভাবে তাঁরা মোকাবিলা করবেন।