- সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩
- খেলাধুলা
- 170
ক্রীড়া ডেস্কঃ টপ-অর্ডার ব্যাটার বদলালেও শুরুতেই তাদের হারানোর রীতিটা বদলালো না। পাঁচে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজও করতে পারলেননা তেমন কিছু।
এরপর দারুণ এক জুটি গড়েন তাওহীদ হৃদয় ও সাকিব আল হাসান। দীর্ঘদিনের সেঞ্চুরি করতে না পারার আফসোস দূর করার সম্ভাবনা জাগিয়েও পারলেন না সাকিব। হৃদয়ও ফিরলেন ফিফটির পরই। তবুও বাংলাদেশের রানটা বড় হলো নাসুম আহমেদ ও টেল-এন্ডারদের কল্য্যাণে।
শুক্রবার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে ভারতের সামনে ২৬৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে এই সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে তারা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে যথারীতি বাংলাদেশের টপ-অর্ডাররা ব্যর্থ হয়েছেন। এদিন অবশ্য নতুন উদ্বোধনী জুটি নিয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেছিলেন তানজিদ হাসান তামিম, তিনি সুযোগ পান এ ম্যাচে, তার সঙ্গী হন লিটন দাস।
তামিম শুরুটা করেছিলেন বেশ ভালো। প্রথম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে একটি বাউন্ডারি হাঁকান, পরে শার্দুল ঠাকুরকে দুটি। কিন্তু তৃতীয় ওভারে এসেই প্রথম উইকেট পেয়ে যায় ভারত। শামীর ইনসুইং বুঝতেই পারেননি লিটন, তিনি হয়ে যান বোল্ড। দুই বল খেলে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন লিটন। শুরুতে ভালো কিছুর আশা দেখানো তানজিদ তামিম আউট হন ঠিক পরের ওভারে।
১২ বলে ১৩ রান করে শার্দুলের স্লোয়ার বাউন্সার পুল করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ছয় মাসে নানা নাটকীয়তার পর সুযোগ পাওয়া এনামুল হক বিজয়ও নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি। মুখোমুখি হওয়া প্রথম ৮ বলই ডট দেন তিনি। এরপর একটি বাউন্ডারি হাঁকান। মাঝে একটি ডট দিয়ে পরে শামীকে পুল করতে যান; কিন্তু বলে যথেষ্ট বাউন্স ছিল না। বল ব্যাটে লেগে উপরে উঠলে ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক লোকেশ রাহুলই।
দ্রুত তিন উইকেট হারানোর পর পাঁচে পাঠানো হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে। কিন্তু কখনোই তাকে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্য লাগছিল না, মাঝে তিলক ভার্মা ক্যাচও ছাড়েন। ২৮ বলে ১৩ রান করে অক্ষর প্যাটেলের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন মিরাজ। ৫৯ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলা দলের হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয় ও সাকিব আল হাসান।
সাকিব এতক্ষণ একাই লড়াই করছিলেন, পরে সঙ্গী হিসেবে পান হৃদয়কে। শুরুতে কিছুটা ধীরস্থির খেললেও পরে হাত খোলেন তাওহীদ। সাকিব হাফ সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। দীর্ঘদিন ধরে তিন অঙ্কের দেখা না পাওয়া এই ব্যাটার স্বাচ্ছন্দ্যেই চার-ছক্কা হাঁকাচ্ছিলেন।
কিন্তু পানি পানের বিরতির পরই মনোযোগ হারিয়ে ফেলেন সাকিব। শার্দুল ঠাকুরের ভেতরে ঢোকা বল ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় স্টাম্পে। ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৫ বলে ৮০ রান করে আউট হন সাকিব। হৃদয়ের সঙ্গে তার ১০১ রানের ম্যাচে ফেরানো জুটিটিও ভেঙে যায়। এরপর টানা দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তাওহীদ হৃদয়।
এই ব্যাটারকে ভালো সঙ্গ দিচ্ছিলেন নাসুম আহমেদও। কিন্তু হৃদয়ই আগে সাজঘরে ফেরত যান। ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৮১ বলে ৫৪ রান করে শামীকে তুলে মারতে গিয়ে তিলক ভার্মার হাতে ক্যাচ দেন। তার বিদায়ের পরও দলের রান বেশ ভালোই হয়েছে। শেষের দিকের ব্যাটাররা রান করতে পারেন না, দলের এমন আফসোস দূর করেন নাসুম।
এই ব্যাটার দুর্দান্ত ব্যাট করেন। ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৪৫ বলে ৪৪ রান করে আউট হন। তার বিদায়ের পরও দলের রান এগিয়ে যায়। মাহেদী হাসান ও অভিষিক্ত তানজিম সাকিব জুটিতে যোগ করেন ২৭ রান। ২৩ বলে ২৯ রান করে মাহেদী ও ৮ বলে ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন সাকিব।