- সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩
- জাতীয়
- 174
নিউজ ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞায় সরকারের হারানোর কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
নিজ বাসভবনে শুক্রবার রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। খবর ইউএনবির।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের হারানোর কিছু নেই। ভিসা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ নিয়ে সরকার চিন্তিত নয়। কারণ সরকার কোনো ভুল করছে না।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো কারণ নেই, যেহেতু সরকার তাদের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত আশ্বাস পেয়েছে।’
সাংবাদিকরা আরও নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রশ্ন করতে থাকলে প্রতিমন্ত্রী তাদের পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ‘সম্প্রতি কি এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে?’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘এটা ‘ইমপ্লাইড’ যে মার্কিন বিবৃতিতে বিএনপি-জামায়াতকে বিরোধী দল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যেমনটি আগের আলোচনাগুলোতে দেখা গেছে।’’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে সহিংসতা ও নৈরাজ্যে জড়িয়ে পড়ায় বিরোধীরা সম্ভবত তাদের কৌশল পরিবর্তন করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মার্কিন সরকারের বর্তমান সিদ্ধান্ত যদি তাদের রুটিন কাজকে ব্যাহত করে, তবে সিদ্ধান্তের আওতায় ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানার পর সরকার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করবে।
‘যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় বাংলাদেশের মানুষের নাম বা সংখ্যা প্রকাশ করবে না।’
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার শুক্রবার এক প্রশ্নের জবাবে ইউএনবিকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী ভিসার তথ্য গোপনীয়।’
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই নীতি ঘোষণার পর থেকে ঘটনাগুলো খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে।
ব্রায়ান শিলার বলেন, ‘তথ্যপ্রমাণ যত্ন সহকারে পর্যালোচনা করার পর আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধী দলের সদস্যদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি।’
চলতি বছরের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ২১২(এ)(৩)(সি)(‘৩সি’) ধারার অধীনে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন।
এই নীতিমালার অধীনে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা কোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির জন্য ভিসা সম্পর্কিত বিধিনিষেধ আরোপ করবে।
যুক্তরাষ্ট্র ২০২৩ সালের ৩ মে বাংলাদেশ সরকারকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর শুক্রবার বলেছে, তারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ নিচ্ছে।
পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের আজকের পদক্ষেপগুলো শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন করার জন্য এবং যারা বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চায় তাদের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।’
তিনি বলেন, ‘এর (ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া ব্যক্তি) মাঝে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধী দলের সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত আছেন।’
মিলার বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়, তার সমর্থনে