- অক্টোবর ২৯, ২০২৩
- লিড নিউস
- 157
নিউজ ডেস্ক: রাজধানীতে মহাসমাবেশে দলীয় নেতাকর্মীর ওপর হামলা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দেশজুড়ে রোববার সকাল-সন্ধ্যা ‘শান্তিপূর্ণ হরতাল’ এর ডাক দেয় জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। পরে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশও আলাদাভাবে হরতাল পালনের ঘোষণা দেয়।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে ঢিলেঢালা হরতাল থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তপ্ত হতে শুরু করে। বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয় বিএনপি-জামায়াতের। এসময় ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
হরতালে পিকেটিংকালে জামায়াত-বিএনপি ও তাদের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ৮ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ, রিকশায় আগুন, সাংবাদিকের মোটরসাইকেল ভাঙচুর, পুলিশের দিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল ও তাদের দিকে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ার সেল নিক্ষেপ দিনভর নানা ঘটনার পর অবশেষে শান্ত হয়েছে সিলেট। স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জনজীবন। সড়কে বড়ছে গণপরিবহনে সংখ্যা।
হরতালের সমর্থনে সকাল ৮টার পর থেকে বিভিন্ন স্থানে অতর্কিত পিকেটিং করছেন বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সঙ্গে আছে জামায়াতও। তারা ভাঙচুর করছেন যানবাহন। পুলিশের দিকে ছুঁড়ছেন ইট-পাটকেল। তবে পুলিশও তাদের ঠেকাতে কঠোরভাবে রয়েছে মাঠে। যে স্থানেই বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন সেখানেই উপস্থিত হয়ে টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দিচ্ছে তাদের।
জিন্দাবাজার ও বন্দরবাজার এলাকায় হরতালবিরোধী মিছিল করছে ছাত্রলীগ। এর আগে বেলা ১১টার দিকে বন্দরবাজারে শান্তিসমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ। থমথমে এই পরিস্থিতিতে প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ ও র্যাব।
এদিকে, সিলেটে মহানগর বিএনপি নেতা জালালী পংকীসহ ৮ নেতাকর্মী মিছিল থেকে আটক করেছে পুলিশ।
পিকেটিংয়ের কারণে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক যানশূন্য হয়ে পড়েছে। নিরাপত্তার অজুহাতে পরিবহন শ্রমিকরাও সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন। সিলেট থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার বাস। আঞ্চলিক সড়কগুলোতেও চলছে না গণপরিহন। এতে জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া লোকজন পড়েছেন বিপাকে। অনেকেই পায়ে হেঁটে যাচ্ছেন তাদের গন্তব্যে।