• নভেম্বর ৮, ২০২৩
  • শীর্ষ খবর
  • 162
সিলেট অঞ্চলে গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে একাধিক প্রকল্প

নিউজ ডেস্ক: সিলেট অঞ্চলে গ্যাসের অনুসন্ধান ও উৎপাদন বাড়াতে অন্তত ৮-১০টি প্রকল্পের কাজ চলছে। রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি সিলেট গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (এসজিএফসিএল), মার্কিন কোম্পানি শেভরন ও বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল) এসব কূপ খনন সংস্কার ও ওয়ার্কওভারের কাজ করছে। এর মধ্যে সিলেট গ্যাসফিল্ডের সিলেট-১০ নম্বর কূপ খননের কাজ চলছে। এই কূপ থেকে দৈনিক ১০-১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনার কথা বলছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

দেশে গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে সম্ভাব্য মজুদ অঞ্চলগুলোয় জরিপ ও খনন কার্যক্রমের উদ্যোগ নিয়েছিল জ্বালানি বিভাগ। পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের উপকূলীয় অঞ্চল, দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে শুরু করে সাগর এলাকায় গ্যাসের অনুসন্ধান কার্যক্রম চালানোর কথা। এর সঙ্গে সঙ্গে খনন কার্যক্রম চালানোর মাধ্যমে বিদ্যমান কূপগুলো থেকেও উত্তোলন বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল, যাতে জাতীয় গ্রিডে ২০২৫ সাল নাগাদ দৈনিক ৬১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত করা যায়। কিন্তু এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এখন সিলেট অঞ্চলেই কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়েছে। পার্বত্য এলাকা ও সাগরে অনুসন্ধান কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি।

দেশে গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে পেট্রোবাংলা ৪৬টি কূপ খনন পরিকল্পনা করেছে। সংস্থাটির লক্ষ্য হলো এসব কূপের মাধ্যমে ২০২৫ সাল নাগাদ জাতীয় গ্রিডে ৬১৫ মিলিয়ন ঘনফুট যুক্ত করা। এ লক্ষ্য অনুযায়ী কাজ এগিয়ে চলছে এবং সেখান থেকে ভালো ফল পাওয়ার বড় সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি করছে পেট্রোবাংলা।

সংস্থাটির চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার গণমাধ্যম বলেন, ‘যেসব কূপে কাজ চলছে, তার মধ্যে তিনটি কূপে ভালো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। বড় ধরনের কোনো অঘটন না ঘটলে আগামী দুই মাসের মধ্যেই এর ফলাফল পাওয়া যাবে। সিলেট-১০ ও কৈলাসটিলায় যত গভীরে খনন করা হচ্ছে তার ফলাফলও তত ভালো পাওয়া যাচ্ছে। আমরা আশাবাদী, যেসব গ্যাসফিল্ডে পরিকল্পনা করা হয়েছে, সেখানে আমরা ৫০০-৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট পাবই। দু-একটি কূপে নাও পেতে পারি। তবে পাব।’

তিনি বলেন, দেশে গ্যাস কূপ খনন যেমন সিলেট অঞ্চলকে কেন্দ্র করে বড় কার্যক্রম চলছে, তেমনি সেখানেই গ্যাসের থ্রিডি ও টুডি জরিপ কার্যক্রম চলছে। যেসব এলাকায় গ্যাস কূপ খনন করছে, সেগুলো সিলেট অঞ্চলের গ্যাসের স্তরকে কেন্দ্র করে। এসব এলাকার গ্যাসফিল্ডের কূপগুলো কয়েক দশক আগ থেকেই উৎপাদনে রয়েছে। এছাড়া পরিত্যক্ত ও নতুন কূপের আওতায় গ্যাস পাওয়া গেলেও তা বর্তমান গ্যাস মজুদের হিসাবের বাইরে নয়। ফলে এখানকার গ্যাস উৎপাদন বাড়লেও তা যেমন যৎসামান্য তেমনি নতুন কোনো মজুদ আবিষ্কার নয়।