• নভেম্বর ১৬, ২০২৩
  • জাতীয়
  • 312
রবি ও সোমবার বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার হরতাল

নিউজ ডেস্কঃ দফায় দফার অবরোধের ডাক দেয়া বিএনপি এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে আগামী রোব ও সোমবার হরতালের ডাক দিয়েছে।

৪৮ ঘণ্টার অবরোধের শেষ দিন বিকেলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ ঘোষণা দেন। ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, রোববার সকাল ৬টা থেকে হরতাল হবে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত।

এর আগের দিন বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তিনি জানান, ভোট হবে ৭ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র জমা দেয়া যাবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। আপিল নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর।

সিইসি জানান, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ‌প্রচার শুরু হবে। চলবে ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত।

বিএনপির এই অবরোধ-হরতালের কর্মসূচি শুরু হয়েছে গত ২৮ অক্টোবরের সহিংসতাকে কেন্দ্র করে। সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে সেদিন রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করছিল বিএনপি। একই সময়ে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে দক্ষিণ গেটে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করছিল আওয়ামী লীগ। আর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই মতিঝিলের দিকে মাঠে ছিল জামায়াতে ইসলামী।

ওইদিন বিএনপির সমাবেশ চলাকালে এক পর্যায়ে দৈনিক বাংলা মোড়, কাকরাইল ও পল্টনসহ আশপাশের এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপি। আগুন, ভাঙচুর ও ককটেল ছোড়া হয়। পিটিয়ে হত্যা করা হয় পুলিশের এক কনস্টেবলকে। এ ছাড়া সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে মারা গেছেন আরও একজন।

এ অবস্থায় সমাবেশ কর্মসূচি চলার মধ্যেই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৯ অক্টোবর সারা দেশে হরতালের ডাক দেন। পরে একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি। অজ্ঞাত স্থান থেকে রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি দেন। বিএনপির অবরোধে একাত্মতা জানায় জামায়াতে ইসলামীও।

এর পর এ পর্যন্ত পাঁচ দফায় অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। সর্বশেষ ঘোষণা করা অবরোধের শুরু হয় বুধবার, যা শেষ হবে শুক্রবার সকাল ৬টায়। এতদিন সরকারেরর পদত্যাগসহ কয়েকটি দাবিতে অবরোধের ডাক বিএনপি এবার তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে হরতাল দিল।

বিএনপির ডাকা অবরোধে প্রতিদিনই রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ককটেল নিক্ষেপসহ নানা সহিংসতা হচ্ছে। কঠোর অবস্থানে থেকে দলটির 2নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। তবে আতঙ্ক সঙ্গে করেেই বাইরে বের হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।