• নভেম্বর ১৭, ২০২৩
  • জাতীয়
  • 137
ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে সিলেটে দিনভর বৃষ্টি, সারা দেশে নৌযান চলাচল বন্ধ

নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ এর প্রভাবে সিলেটে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে অল্প পরিমাণে বৃষ্টি হলেও শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। সকাল থেকে সিলেট নগরীতে কখনও ঝিরিঝিরি, কখনো অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টির মাঝে মাঝে দমকা হাওয়াও বইছে। দিনভর বৃষ্টিতে প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া ও শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।

এদিকে শুক্রবার হওয়াতে স্কুল-কলেজে যাওয়া শিক্ষার্থী ও অফিসগামীদের কোনো চাপ না থাকলেও দিনমজুর, ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীসহ পথচারীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। এই বৃষ্টির মধ্যেই নগরীর মদিনা মার্কেট এলাকার বাসা বাড়ি থেকে ময়লা সংগ্রহ করতে এসেছেন পরিচ্ছন্নতা কর্মী লিটন মিয়া। তিনি বলেন, ‘ আমরাতো সরকারি অফিসে চাকরি করি না যে শুক্কুরবারে বন্ধ থাকবো। মেঘ তুফান যাই হোক আমরা বন্ধ নাই। বৃষ্টিতে ভিজ্জা কষ্ট হইলেও ময়লা নেওয়া লাগবো।’

নগরীর বন্দরবাজার এলাকার রিকশা চালক হারুন মিয়া বলেন, বৃষ্টিরদিন হলেও রিকশা নিয়া বের হতে হয়। কারণ ঘরে বউ বাচ্চা আছে। এই রিকশার চাকা ঘুরলে আমার সংসার চলে। তাই রোদ বৃষ্টি যাই থাক আমাদের বিশ্রাম নেই।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড়র মিধিলির প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ অতিক্রম করার পর বৃষ্টি কমে আসবে। এই বৃষ্টি শনিবার পর্যন্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে সারা দেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৭ ও ৬ নম্বর বিপৎসংকেত জারির পর আমরা সারা দেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছি। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মিধিলি খুলনা ও বরিশালের মাঝখান দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রটি পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে যাবে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলাগুলো ছাড়াও সারা দেশে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি বাস্তবায়ন বোর্ডের সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টি বরগুনা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট ও চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানতে পারে।