- নভেম্বর ৩০, ২০২৩
- জাতীয়
- 163
নিউজ ডেস্কঃ নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে রিজার্ভ কমেছে ১৩ কোটি ৯৯ লাখ ৩৭ হাজার ডলার। এক সপ্তাহ আগে ২২ নভেম্বর যেখানে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত তহবিলসহ গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা দুই হাজার ৫১৬ কোটি ১৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার।
এক সপ্তাহে কমে তা দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বা দুই হাজার ৫০২ কোটি ১৩ লাখ ৭০ হাজার ডলার।
রিজার্ভে থেকে গঠিত বিভিন্ন ধরনের তহবিল বাদে সর্বশেষ নেট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার বা এক হাজার ৯৪০ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার (বিপিএম৬)। এক সপ্তাহ আগে ২২ নভেম্বর নেট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১৯ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার বা এক হাজার ৯৫২ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার (বিপিএম৬)।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সাপ্তাহিক নির্দিষ্ট অর্থনৈতিক সূচকে এ তথ্য তুলে ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে, এক সপ্তাহে নেট রিজার্ভ কমেছে ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯০ হাজার ডলার। সপ্তাহ গ্রস রিজার্ভ ও নেট রিজার্ভ খরচের মধ্যে পার্থক্য তৈরি হয়েছে।
বর্তমানে সরকারের জ্বালানি আমদানির মতো গুরুত্বপূর্ণ পূর্ণ কাজে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করা হয়। এতেই এক সপ্তাহে প্রায় ১৪ কোটি ডলার খরচ হয়েছে।
বাংলাদেশ সাধারণত রিজার্ভ থেকে গঠিত তহবিলসহ রিজার্ভের হিসাব করতো। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে থেকে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ নেওয়ার শর্ত অনুযায়ী বিশ্বজুড়ে প্রচলিত ও বহুল ব্যবহৃত আইএমএফের ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম৬) অনুযায়ী হিসাব দেখানো শুরু করে।
সেই অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে রিজার্ভ গণনায় তৈরি পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য বিদেশি মুদ্রায় গঠিত তহবিল, বিমানকে দেওয়া ঋণ গ্যারান্টি, পায়রাবন্দর কর্তৃপক্ষকে দেওয়া ঋণ, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকে আমানত এবং নির্দিষ্ট গ্রেডের নিচে থাকা সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ রিজার্ভ থেকে বাদ দেয়। অবশিষ্ট ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভকে নেট বলা হচ্ছে। পাশাপাশি মোট রিজার্ভও দেখানো হয়।