- ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩
- জাতীয়
- 218
নিউজ ডেস্কঃ আগামী ৭ জানুয়ারি হতে যাওয়া দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটের ফল আগেই ঢাকায় বসে ঠিক করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুর জাতীয় স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মঈন খান বলেন, আগামী ৭ তারিখ যে নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে সেটা কোনো নির্বাচন নয়। এখানে ভোট ভাগাভাগি চলছে। এই নির্বাচনের ফলাফল ঢাকায় বসে নির্ধারণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আজকে যেটা হচ্ছে সেটা নির্বাচন নয়, সেটা হচ্ছে বানরের পিঠা ভাগাভাগি। সেই কাজগুলো আপনারা (সরকার) প্রকাশ্যে করছেন। আপনারা জাতিকে কলঙ্কিত করেছেন।
মঈন খান বলেন, আজকে আমরা যেটা দেখতে পাচ্ছি, রাজধানীতে ভোটের সিট ভাগাভাগি করে যে ফলাফল নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ তারিখে সেই ফলাফলই শুধুমাত্র ঘোষণা করা হবে। ৭ তারিখে কোনো নির্বাচন হবে না, সেটা আজকে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ কাছে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, আজকে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে আমরা সরকারের কাছে এই আবেদন করছি, আপনারা সংঘাতের পথ ছেড়ে দিন। এদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয় মানুষ, তারা শান্তিতে থাকতে চায়… শান্তিপূর্ণ পথে আপনারা রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসানে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আপনারা ক্ষমতা ছেড়ে দিন। বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে পেতে আমরা রাজপথে আছি, আমরা রাজপথে থাকব।
একাত্তরে শহীদ বুদ্দিজীবীদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই শিক্ষক বলেন, ‘১৯৭১ সালের এইদিনে যারা দেশের সম্পদ তাদেরকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। যেটা নিকৃষ্ট ও জঘন্যতম কাজ। একাত্তর সালে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম, লক্ষ লক্ষ মানুষ রক্ত ঢেলে দিয়েছিল, একমাত্র উদ্দেশ্যে সেই উদ্দেশ্যটি ছিল আমরা একটি স্বাধীন দেশ সৃষ্টি করব যেখানে গণতন্ত্র থাকবে। কেন না পাকিস্তানের কাঠামোর মধ্যে কোনদিন গণতন্ত্র হতে পারে না।
মঈন খান বলেন, সরকার হয়ত বুলেট দিয়ে, টিয়ার গ্যাস ছুড়ে, সাউন্ড গ্রেনেট দিয়ে মানুষের মুখ বন্ধ করে রাখার চেষ্টা করতে পারে কিন্তু আমাদের শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে আমরা বিগত দেড় বছর যাবত প্রতিবাদ করে এসেছি… এই প্রতিবাদ আমরা করে যাব, বাংলাদেশে কোনো একদলীয় সরকার থাকতে পারবে না।
পরে মঈন খান শহীদ বেদিতে গিয়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময়ে দলের ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল হাই শিকদার, মাহবুব উদ্দিন খোকন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, তাইফুল ইসলাম টিপু, পারভেজ রেজা কাকন, রফিক শিকদার, আবেদ রাজা, পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শহীদ বুদ্দিজীবী দিবস উপলক্ষে ভোরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের দলীয় অফিসগুলোতে কালো পতাকা উত্তোলন ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। মিরপুর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে আলোচনা সভা হয়।