- ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪
- লিড নিউস
- 128
হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ড এলাকায় অতিরিক্ত কম্পনে বাড়িঘর ফাটল ধরার ঘটনাটি প্রাকৃতিক ভূমিকম্প হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে পেট্রোবাংলা তদন্ত কমিটি। তবে প্রতিবেদন প্রকাশের পর তা প্রত্যাখান করে বৃহৎ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এলাকাবাসী।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান প্রতিবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ড এলাকায় কম্পনের ঘটনাটি প্রাকৃতিক ভূমিকম্প। ভূমিকম্পে মানুষের কোনো সম্পৃক্ততা থাকে না।
তিনি আরও বলেন, গ্যাসফিল্ড কর্তৃপক্ষ তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৭ ও ২৮ নাম্বার কূপ খননের কার্যক্রম শুরু করেছে। ইতিমধ্যে ২৮ নাম্বার কূপ খনন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২৭ নাম্বার কূপটিও খনন করার পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের।
এদিকে প্রাকৃতিক ভূকম্পন হিসেবে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এলাকাবাসীর দাবি, নতুন কূপ খনন সঠিকভাবে না করায় এ ঘটনা ঘটেছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বাড়িঘরের। ক্ষতিপূরণ এড়াতে এমন প্রতিবেদন দাখিল করেছেন তদন্ত কমিটি।
স্থানীয় বাসিন্দা সোহাগ বলেন, নতুন কূপ খননের ফলেই এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বাড়িঘর ফেটে অনেক ক্ষতি হয়েছে আমাদের। আমরা আমাদের ক্ষতিপূরণ চাই।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আবদুল্লাহ বলেন, যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে এটা তাদের মনগড়া প্রতিবেদন। ক্ষতিপূরণ না দেওয়ার জন্যই এমন ভুয়া প্রতিবেদন দিয়েছে তারা।
দীঘলবাক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ছালিক মিয়া বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে। আমরা এলাকাবাসী সম্মিলিতভাবে এর প্রতিবাদ করব। স্থানীয়দের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে এর ক্ষতিপূরণ আদায়ে সরকারের সহযোগিতা চাই।
উল্লেখ্য, বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ড যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি শেভরনের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি গ্যাসফিল্ডে বিকট শব্দ ও অতিরিক্ত কম্পন হয়। এতে স্থানীয় অনেক বাড়িঘরে ফাটল দেখা দেয়। এরপর স্থানীয়রা বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ড ঘেরাও করে গ্যাসফিল্ডের কার্যক্রম বন্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পেট্রোবাংলা সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, বাপেক্সের ভূতাত্ত্বিক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. আলমগীর হোসেন ও পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক (ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড প্রোডাকশন) মো. সালাহ উদ্দিনের সমন্বয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।