• ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪
  • শীর্ষ খবর
  • 75
সিলেট বিভাগীয় পর্যায়ে ৪ নারী পেলেন শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা

নিউজ ডেস্ক: মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় সিলেটের উদ্যোগে তৃণমূলের সংগ্রামী নারীদের উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে প্রতিবছর জীবনযুদ্ধে জয়ী নারীদের স্বীকৃতি প্রদানের জন্য জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ শীর্ষক কার্যক্রমের ধরাবাহিকতায় সিলেটে বিভাগীয় পর্যায়ে নির্বাচিত ৫ জন শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি )সকালে নগরীর পূর্ব শাহী ঈদগাহস্থ জেলা শিল্পকল্পা একাডেমিতে আয়োজিত সিলেট বিভাগীয় পর্যায়ে জয়িতা সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ঢাকার মহাপরিচালক (গ্রেড-১) কেয়া খান।

সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী এনডিসি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান বিপিএম-বার, পিপিএম, এসএমপি সিলেটের পুলিশ কমিশনার মোঃ জাকির হোসেন খান পিপিএম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ঢাকার পরিচালক (যুগ্ম সচিব) জাকিয়া আফরোজ, অতিরিক্ত পরিচালক (যুগ্ম সচিব) ও জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ কর্মসূচির পরিচালক সালেহা বিনতে সিরাজ, সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক এমপি, রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত সৈয়দা জেবুন্নেছা হক।

সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবজিৎ সিংহ এর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যম সূচিত অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সিলেটের উপ-পরিচালক শাহিনা আক্তার।

সিলেট জেলা কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাশ গুপ্ত এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণলয়ের এপিসি প্রকল্পের চাইল্ড রাইটস্ ফ্যাসিলিটেটর প্রিয়াংকা দাস রায় এর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে “জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ” শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় ৫টি ক্যাটাগরিতে সিলেট বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা যথাক্রমে অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী সিলেটের আছমা কামালী শান্তা, শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী সিলেটের অধ্যাপক ডাঃ শামসুন নাহার বেগম, সফল জননী মৌলভীবাজারের কমলী রবিদাশ, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে নতুন জীবন শুরু করেছেন যে নারী হবিগঞ্জের নাজমা আক্তার, সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী হবিগঞ্জের স্বপ্না রাণী দেব বর্মা-কে উত্তরীয়, ক্রেস্ট, সম্মাননা চেক ও সনদপত্র প্রদান করেন প্রধান অতিথি সহ অতিথিবৃন্দ।

বিভাগীয় পর্যায়ে রানার্স জয়িতা- সুফিয় রহমান, মোছাম্মত সেলিনা বেগম, বেগম হাজেরা হাশেম ও বিনতা দেব-কে উত্তরীয় ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে জয়িতা তোমরাই বাংলাদেশের বাতিঘর শীর্ষক স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ঢাকার মহাপরিচালক কেয়া খান বলেন, দেশ-জাতি, সমাজের উন্নয়ন সহ সর্বক্ষেত্রে মায়েদের আবাদন বেশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী থাকার কারণে আজ নারী সমাজ শিক্ষা, চিকিৎসা, চাকুরী, উদ্যোক্তা, সমাজসেবা সহ সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছেন। নারীরা এখন আর পিছিয়ে নেই। দক্ষতার সাথে তারা দেশের উন্নয়নে নিরলস ভাবে ভূমিকা রাখছেন। সমাজে প্রতিকূলতা অতিক্রম করে যে নারী তাঁর কাজের মাধ্যমে উজ্জীবিত তাঁদের সম্মান ও স্বীকৃতি প্রদানের জন্য জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ কার্যক্রমটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এতে নারী সমাজের সম্মান বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল সকলক্ষেত্রে নারীদের অবদান নিশ্চিত করা। পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাজ করায়, নারীর উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশ বহির্বিশে^ সুনামের সাথে পরিচিত লাভ করেছে। তিনি বাল্য বিবাহ রোধে কাজ করার পাশাপাশি জয়িতা সম্মাননা পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীদের উৎসাহিত করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নারী পুরুষ সমতার মাধ্যমে সবাইকে এক যুগে কাজ করার আহবান জানান।