• মার্চ ১৯, ২০২৪
  • রাজনীতি
  • 132
বর্তমান সরকারের কোনো লজ্জা নেই : গয়েশ্বর

নিউজ ডেস্কঃ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, স্বৈরাচারেরও লজ্জাবোধ আছে। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে যারা ক্ষমতায় আছে তাদের লজ্জাবোধ নাই। শুধু কাপড় দিয়ে শরীর আবৃত করলেই লজ্জা নিবারণ হয় না। এটা হচ্ছে নৈতিকতার লজ্জাবোধ। তাদের সেটা নেই।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত ‘গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচন নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, যারা ভোটের দিন ভোট দিতে গেছে তারা ভোট দিতে পারেনি। লাইনে শুধু দাঁড়িয়ে থেকেছে। টাকা আর বিরিয়ানির প্যাকেট দিয়ে লাইনে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। আমরা সব সময় যেটা বলি, ফুল ফুটুক আর না ফুটুক আজ বসন্ত। ঠিক একইভাবে আজকে ভোট হোক বা না হোক শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, সবাইতো গণতন্ত্রের কথা বলছে, গণমাধ্যমের কথা বলছে। কিন্তু গণমাধ্যম কী স্বাধীন? আমিতো তা মনে করি না। আজকাল টেলিভিশনের টকশোতে যেভাবে নির্লজ্জভাবে কথা বলে এটা সাংবাদিকতা না। আবার মালিকদেরও একটা ব্যাপার আছে। প্রতিটা হাউজেই কোন সংবাদ যাবে কোন সংবাদ যাবে না সেটাও বাছাই করা হয়। এখন সরকারের প্রশংসা আর চাটুকারিতা করতে করতে অনেকে শত কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন। সাংবাদিকের স্বাধীনতা থাকলে তারা লিখতে পারবে। কিন্তু মালিকরা সরকারকে ব্ল্যাকমেইল করে, তাই তারা লিখতে পারে না।

তিনি আরও বলেন,২০০৮ সাল থেকে জনগণ প্রতারিত হচ্ছে। ভোট কিন্তু একটা উৎসব। ঈদ-পূজার থেকেও বড় উৎসব। কিন্তু আজকে সেটাকে ভাগ করে দিয়েছে শুধু গণতন্ত্রের জন্য। এখন বহু সাংবাদিক রাজনীতিবিদ আছে যারা স্বার্থের জন্য গণতন্ত্রকে স্বৈরতন্ত্র করে ফেলে। আবার স্বৈরতন্ত্রকে গণতন্ত্র বানিয়ে ফেলে।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন— বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আ. ক. ম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমীন গাজী, বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট পারভেজ হোসেন, বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উপদেষ্টা রোটারীয়ান এম নাজমুল হাসানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।