• মার্চ ১৯, ২০২৪
  • লিড নিউস
  • 89
সিলেটে খামারের হাঁস খেয়ে ফেলায় মেছোবাঘ আটক, পরে উদ্ধার করে ইকোপার্কে অবমুক্ত

নিউজ ডেস্কঃ গত কয়েকদিনে যাবত সিলেটের সদর উপজেলার মোগলাগাও ইউনিয়নের লামারগাও গ্রামের সাইফুল আমিনের খামার হাঁস খেয়ে ফেলেছে মেছোবাঘ। তাই তিনি দুটি লোহার পিঞ্জিরা (খাঁচা) তৈরি করেন। গত রোববার রাতে পিঞ্জিরাগুলো খামারের ভেতরে রেখে দেন সাইফুল। এতে একটি মেছোবাঘ আটকা পড়ে। এরপর মেছোবাঘ আটকের দৃশ্য ধারণ করে সোমবার ‘সিলেটের ম্যাগাজিন’ নামের একটি ফেসবুক পেজ একজন লাইভে এসে বাঘটি আটকের বর্ণনা দেন। এই লাইভটি চোখে পড়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিমের। পরে তিনি বাঘটি উদ্ধারের জন্য ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। তার পোস্ট নজরে আসার পর মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে মেছোবাঘটি উদ্ধার করে সিলেটের টিলাগড় ইকোপার্কে অবমুক্ত করে সদর উপজেলা প্রশাসন।

হাসের খামারি সাইফুল আমিন বলেন, গত কয়েকদিনে ধরে আমার খামারের প্রায় ৫০০ হাঁস খেয়ে ফেলেছে মেছোবাঘ। প্রতি রাতেই আমার ও আশপাশের আরও কয়েকজনের হাঁস খেয়ে যায় বাঘেরা। তাই অতিষ্ঠ হয়ে মেছোবাঘ আটক করতে আমি দুটি লোহার পিঞ্জিরা (খাঁচা) তৈরি করি। রোববার রাতে পিঞ্জিরায় আটকা পড়ে একটি বাঘ।

ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম বলেন, সিলেট অঞ্চলে প্রায়ই এরকম মেছোবাঘ আটক করা হয়। গতকাল ফেসবুকে এই আপত্তিকর লাইভটি দেখার পরই আমি তা শেয়ার করে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং বনবিভাগের কর্মকর্তাদের নজরে আনি। এরপর আমার পোষ্টে এসেই সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, বাঘটি উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয়েছে। আমরা বন্যপ্রাণী আটক করলেও বনবিভাগের হাতে তুলে দিতে মানুষজনকে সচেতন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে ফেসবুকে এমন রগরগে ধারাবর্ণনা দিয়ে লাইভ করলে মানুষ বন্যপ্রাণী আটক ও নির্যাতনে আরও উৎসাহী হবে। ফলে এমন কাণ্ড যিনি করেছেন তারও শাস্তি হওয়া উচিত।

এ ব্যাপারে সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাছরীন আক্তার বলেন, মেছোবাঘটি উদ্ধার করে টিলাগড় ইকোপার্কে অবমুক্ত করা হয়েছে। বন্যপ্রাণী আটক ও নির্যাতনের সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।