- এপ্রিল ২৩, ২০২৪
- লিড নিউস
- 80
নিউজ ডেস্ক: সিলেট মহানগরে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ সিএনজি চালিত অটোরিকশা আর লেগুনা স্ট্যান্ড। এসব অবৈধ স্ট্যান্ডগুলোতে গাড়ি রাখা নিয়েও চলছে তীব্র প্রতিযোগিতা। নিয়ম-নীতি বা আইন কোন কিছুর তোয়াক্কা করছেন না তার। এসব স্ট্যান্ডে যাত্রীদের হয়রানি করারও অভিযোগ ওঠেছে। সিলেট সিটি কর্পোরেশন কিংবা ট্রাফিক বিভাগ এসব অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বললেও কোনো সুফল মিলছে না। ব্যস্ত সড়কগুলোর পাশে সারি সারি গাড়ি রাখায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মহানগরবাসীকে। তৈরি হচ্ছে যানজট।
নগরীর ব্যস্ততম চৌহাট্টা পয়েন্টও রয়েছে কার ও মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড। সেখানে নতুন করে গড়ে উঠেছে আরেকটি সিএনজি চালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ড। চৌহাট্টায়ে ট্রাস্ট ব্যাংকের সামনে সারি সারি গাড়ি রাখায় চলাচলে দুর্ভোগ আর বিড়ম্বনার পড়তে হচ্ছে নগরবাসীকে। নতুন করে গড়ে উঠা এই অবৈধ স্ট্যান্ডের কারণে দিনভর চৌহাট্টা এলাকয় লেগে থাকে যানজট। অভিযোগ রয়েছে স্ট্যান্ডে যাত্রীদের করা হয় হয়রানি। রাখা হয় বাড়তি ভাড়া।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) মো. মাহফুজুর রহমান জানান, প্রকৃত পক্ষে সিলেট মহানগরে কোন স্ট্যান্ড নেই। তারপরেও পয়েন্টগুলোতে অবৈধভাবে স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে আমরা সিএনজি গুলোকে শৃঙ্খলার আনতে কাজ করছি। মহানগরে সিএনজি যে পরিমাণ থাকার কথা তার চেয়ে অনেক বেশি আছে। যার ফলে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হচ্ছে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে যানজট কমাতে ও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে একযোগে কাজ করছে সিটি করপোরেশন ও মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী জানান, মহানগরে কোন বৈধ স্ট্যান্ড না থাকলেও যাত্রীদের সুবিধার্থে অনেক পয়েন্ট থেকে স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না। তবে আমরা রাস্তায় শৃঙ্খলা আনতে কাজ করছি। একই সাথে যাত্রীরা যাতে হয়রানির শিকার না হন সে দিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। স্ট্যান্ডগুলো যাতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কারণ না হয় সেজন্য আমরা কাজ করছি। সড়কে শৃঙ্খলা আনতে সিসিক মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সাথে আলোচনা করেছি।