- মে ৩০, ২০২৪
- লিড নিউস
- 79
নিউজ ডেস্ক: সিলেটের ৫টি উপজেলায় বন্যা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকেল ৬টা পর্যন্ত নদ-নদীর পানি জেলার পাঁচটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে সিলেটের গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জলমগ্ন হয়েছে।
পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন লাখো মানুষ। অনেকের ঘরে গলা পর্যন্ত ঢুকে পড়ে পানি। অনেকের ঘর-বাড়ি তলিয়ে যায়। ভেসে গেছে গবাদি পশু ও পুকুর-খামারের মাছ।
সিলেটের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা নদ নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেট কার্যালয়ের তথ্য মতে, সিলেট জেলার পাঁচ পয়েন্টে নদীর পানি বিদৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার তথ্য অনুযায়ী, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ১৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর অমলসিদ পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ২১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ৮৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সারিগোয়াইন নদীর গোয়াইনঘটা পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জকিগঞ্জ উপজেলার অমলসিদে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫.০৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১.২ সেন্টিমিটার, জৈন্তাপুর উপজেলায় সারি নদীর পানি বিপৎসীমার ০.৮১ সেন্টিমিটার, জাফলংয়ে ডাউকি নদীর পানি বিপৎসীমার ৩.২৭ সেন্টিমিটার এবং গোয়াইনঘাটে সারি নদীর পানি বিপৎসীমার ১.৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেশ কয়েকটি পয়েন্টে নদীর পানি ইতিমধ্যে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করেছে। ভারতের মেঘালয় রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায সাড়ে ৬ শ মি.মি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে নদ নদীর পানি আরও বাড়তে পারে।