- জুন ৮, ২০২৪
- লিড নিউস
- 78
নিউজ ডেস্ক: ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সিলেটে সৃষ্ট আগাম বন্যায় এখনো ৫ লাখ মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। সিলেটে ২৭ মে থেকে চলমান বন্যা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হলেও এখনো প্লাবিত জেলার ১২টি উপজেলার ৭৮টি ইউনিয়নের ৮১২টি গ্রাম। জেলা প্রশাসন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে, সুরমা নদীর পানি বেড়ে ৩০ মে বন্যা কবলিত হয়েছিলো সিলেট মহানগরের ২৬টি ওয়ার্ড। তবে এসব এলাকা এখন বন্যামুক্ত।
জেলা প্রশাসন সূত্র শনিবার (৮ জুন) সকালে বন্যার সর্বশেষ পরিস্থিতি জানায়- মহানগরে বর্তমানে কোনো পানিবন্দী লোকজন নেই। তাই সিটি করপোরেশন এলাকায় স্থাপিত অস্থায়ীকেন্দ্রগুলোতেও নেই কেউ। পানি নেমে যাওয়ায় বন্যা আক্রান্তরা সবাই চলে গেছেন নিজেদের বাসা-বাড়িতে।
জেলা প্রশাসন সূত্র আরও জানায়, ২৭ মে জেলার ৫টি উপজেলায় বন্যা দেখা দেয়। ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে একপর্যায়ে সে বন্যার পানি ছড়িয়ে পড়ে একে একে ১৩টির মধ্যে (ওসমানীনগর ছাড়া) বাকি ১২টি উপজেলায়। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েন প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষ। তবে ৪ জুন (মঙ্গলবার) থেকে
সিলেটে বন্য পরিস্থিতির উন্নতি হতে থাকে। ভারী বৃষ্টি না হওয়া ও উজানের ঢল থামায় এখনো সে ধারাবাহিকতা বজায় আছে। শনিবার পর্যন্ত জেলার ১২টি উপজেলায় বন্যা থাকলেও পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১ হাজার ৩৮৬ জনে।
শনিবার পর্যন্ত ৫৫১টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৪৪০ জন মানুষ রয়েছেন। আর বাকিরা নিজেদের বাসা-বাড়িতে চলে গেছেন। ৪ জুন পর্যন্ত এসব আশ্রয়কেন্দ্রে সাড়ে ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ অবস্থান করছিলেন।
এদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট অফিস সূত্র জানিয়েছে- উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে সিলেটের সব নদ-নদীর পানি। শুধু কুশিয়ার নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি রয়েছে বিপৎসীমার উপরে। তবে এ পয়েন্টেও পানি হৃাস অব্যাহত আছে।
সিলেট জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানান- জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর পানি এখনো বিপদসীমার ৫১ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে গত ২৪ ঘন্টায় ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি। তবে
সিলেটের অন্য নদীগুলোর পানি সকল পয়েন্টে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাশাপাশি বাকি উপজেলাগুলোর বন্যা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকা বন্যামুক্ত।
তিনি আরও জানান- বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়গুলোতে স্থাপিত কন্ট্রোল রুমের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। প্রতিটি উপজেলায় ডেডিকেটেড অফিসারের পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়নে ট্যাগ অফিসার বন্যাকালীন দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া বন্যার্তদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য ইউনিয়নভিত্তিক মেডিকেল টিমগুলো কাজ করছে এবং সরকারি/বেসরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।