• জুলাই ১৭, ২০২৪
  • জাতীয়
  • 58
আদালতের রায় আসা পর্যন্ত সবাইকে অপেক্ষার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

নিউজ ডেস্ক: সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আসা পর্যন্ত সবাইকে অপেক্ষার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, হত্যাকাণ্ডের বিচারবিভাগীয় তদন্ত হবে এবং যাদের উসকানিতে এই প্রাণহানি, তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় একথা বলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু করা ৭ মিনিটের ভাষণের শুরুতে সরকারপ্রধান আশুরার দিনে কারবালায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও এই আন্দোলনে নিহতদের প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, পরিতাপের বিষয় হলো কিছু মহল এই আন্দোলনকে ব্যবহার করছে।

আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় সরকারপ্রধান ‘বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক’ উল্লেখ করে বলেন, আপনজন হারানোর বেদনা যে কতো কষ্টের, তা আমার থেকে কেউ ভালো জানেন না। হত্যাকাণ্ডের বিচারবিভাগীয় তদন্ত হবে এবং যাদের উসকানিতে এই প্রাণহানি, তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

এই ঘটনায় যারা নিহত হয়েছে তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তাদেরকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং সর্বোচ্চ আদালতের রায় আসা পর্যন্ত সবাইকে অপেক্ষার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আইনি প্রক্রিয়ায় সমস্যা সমাধান: সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে চলা সংকট আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধানের সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে যে ঘটনা ঘটেছে, তা খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৮ সালে ছাত্রদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কোটা বাতিল করে একটি পরিপত্র জারি করে। সম্প্রতি আদালত এটি বাতিল করে। এরপর থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে পুলিশ সহযোগিতা করে। রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলে সুযোগ দেওয়া হয়। নিরাপত্তারও ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’

তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো কিছু মহল আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত উচ্চাভিলাস চরিতার্থ করতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। এর ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে যে ঘটনা ঘটেছে, তা খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক। অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেলো। আপনজন হারানোর বেদনা কত কষ্টের, আমার থেকে আর কে বেশি জানে। যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আমি সব হত্যার নিন্দা জানাই।’

‘যারা হত্যাকাণ্ড, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, এরা যেই হোক না কেন, তারা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেসব অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হবে। কাদের উসকানিতে এই অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হলো, তা তদন্ত করে বের করা হবে’, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে মঙ্গলবার পুলিশ, ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে সারাদেশে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রামে তিনজন, ঢাকায় দুজন ও রংপুরে একজন নিহত হন। এছাড়া আহত হন আরও অনেকে।