- জুলাই ১৭, ২০২৪
- শিক্ষাঙ্গন
- 61
নিউজ ডেস্ক: অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রবেশে ‘নিষেধাজ্ঞা’ প্রদান করেছে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনরত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার দুপুর থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামে বিবৃতি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ফেসবুক ওয়ালে ও শাবিপ্রবির বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করা হয়। এই বিবৃতিতে ‘মুহম্মদ জাফর ইকবালকে শাবিপ্রবিতে আজীবন নিষিদ্ধ করা হলো’ বলে উল্লেখ করা
জনপ্রিয় লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল এই বিশ্ববিদ্যােয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। তার স্ত্রী ড. ইয়াসমিন হকও শাবিপ্রবির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে মঙ্গলবার একটি নিবন্ধ লেখেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল। এই নিবন্ধনের একটি ছোট অংশ ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়ে। এ নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দেয়।
বুধবার সকালে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া ৩টার মধ্যে আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় হল ছাড়ার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এই সিদ্ধান্ত ছড়িয়ে পড়ার পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। তারা হল ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন। একইসঙ্গে আন্দোলরত ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’দের নামে একটি বিবৃতি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
‘বিউটি অব সাস্ট ক্যাম্পাস’ নামে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের একটি ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করা ওই বিবৃতিতে উল্লেখ রয়েছে- ‘রেজিঃ ভবন, কন্ট্রোলার এবং ভিসি ভবন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও আজ (বুধবার) বিকেল ৩ টার মধ্যে সকল শিক্ষক ও কর্মকর্তা/কর্মচারীকে তাদের কোয়ার্টার ত্যাগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে।
পাশাপাশি জনাব. ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল কে শাবিপ্রবিতে আজীবন নিষিদ্ধ করা হলো।
– সাধারণ শিক্ষার্থী, শাবিপ্রবি’।
এ ব্যাপারে শাবিপ্রবির আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হঠাৎ করেই আমাদের হল ছাড়ার নির্দেশনা দিয়েছে। এই নির্দেশার প্রতিবাদেই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস কক্ষগুলো বন্ধ করার ঘোষণা দিয়িছি।
তিনি বলেন, মুহম্মদ জাফর ইকবালকে আমরা খুব শ্রদ্ধা করতাম। কিন্তু তার গতকালকের লেখাটি আমাদের হতাশ ও ক্ষুব্ধ করেছে।