• আগস্ট ১২, ২০২৪
  • শীর্ষ খবর
  • 29
সিলেটে কাজে ফিরছেন পুলিশ সদস্যরা

নিউজ ডেস্কঃ কর্মবিরতি শেষে সিলেটের থানাগুলোতে ফিরতে শুরু করেছেন পুলিশ সদস্যরা। ফলে সচল হতে শুরু করেছে থানাগুলো। এদিকে সীমিত জনবল দিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছে কিছু থানা। ৬দিন পর সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানা একটি সাধারণ ডায়েরি নথিভুক্ত করেছে।

সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে সিলেটের কতোয়ালি থানায় গিয়ে দেখা যায়, এখনও ক্ষতবিক্ষত হয়ে আছে পুরো থানা। সবখানেই ভাঙচুরের চিহ্ন লেগে আছে। এরমধ্যে থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। থানায় রয়েছেন আনসার সদস্যরাও।

কতোয়ালি থানার নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুনু মিয়া মিয়া বলেন, আমাদের থানায় ৭৫ জনের মতো স্টাফ রয়েছেন। এখন পর্যন্ত ২০/২৫ জনের মতো কাজে ফিরেছেন। বাকিরাও দ্রুত কাজে যোগ দিবেন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারনে আজকে অনেকে আসতে পারেন নি।

সোমবার দুপুরে তিনি বলেন, আজকে এখন পর্যন্ত থানায় একটি নিখোঁজের জিডি হয়েছে।

এই থানার একাধিক পুলিশ সদস্যের সাথে আলাপ করে জানা যায়, কাজে যোগ দিলেও তারা এখনও আতংকিত। ফলে এখনই থানার বাইরে ডিউটিতে যেতে আগ্রহী নন তারা।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (প্রসিকিউশন) বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন, সিলেট নগরের সব থানার কার্যক্রমই শুরু হয়েছে। সেবাগ্রহীতারাও আসছেন। এছাড়া ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।

এদিকে আগুনে পুড়ে যাওয়া সিলেট পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়ের কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি।

এ প্রসঙ্গে সিলেট জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আব্দুল মান্নান বলেন- আমাদের কার্যালয়ে যেভাবে ধ্বংসযজজ্ঞ চালানো হয়েছে- মেরামত করে সবকিছু ঠিক করতে একটু সময় লাগবে। ইতোমধ্যে মেরামতের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

তিনি বলেন- কার্যালয়ের কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। কোনো ফাইল-পত্র বাঁচেনি। মাসখানেক সময়ের মধ্যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এসপি আব্দুল মান্নান। তবে সিলেট জেলার সব থাবার কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানান এসপি।

শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর ৫ আগস্ট বিকেলে এসপি অফিসসহ সিলেটের প্রায় সবগুলো থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করা হয়। এরপর থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন পুলিশ সদস্যরা।

এদিকে, সিলেট মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে আলোচিত-সমালোচিত পুলিশ কর্মকর্তা আজবাহার আলী শেখকে বদলি করা হয়েছে। অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত আজবাহার এতোদিন সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা ছাত্র আন্দোলন দমনে অতিরিক্ত বল প্রয়োগের অভিযোগ ওঠে তার বিরেদ্ধে।

শনিবার আজবাহার আলীকে সিলেট পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের উপ কমিশনার হিসেবে সংযুক্ত করা হয়েছে। অপরদিকে উপ পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) হিসেবে কর্মরত মোহা. সোহেল রেজাকে উপ কমিশনার (উত্তর) হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

শনিবার সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা যায়।

পুলিশ কমিশনার স্বাক্ষরিত আরেক অফিস আদেশে সিলেট কতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহম্মদ মঈন উদ্দিনকে বদলি করে পুলিশ লাইনন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। আর কতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বরত মোহাম্মদ নুনু মিয়াকে।