- সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪
- লিড নিউস
- 23
নিউজ ডেস্কঃ সাংবাদিক এটিএম তুরাব হত্যা মামলার আসামি সিলেট কোতোয়ালি থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিনকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিকরা।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মহানগর পুলিশ (এসএমপি) কমিশনার কার্যালয়ের সামনে প্রায় দেড় ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে সিলেটের সাংবাদিকরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
তারা বলেন, পুলিশের গুলিতে সাংবাদিক নিহতের দেশের ইতিহাসে প্রথম। এ ঘটনায় আমরা বিস্মিত ও গভীর শোকাহত এবং ক্ষুব্ধ। তুরাব হত্যার ঘটনায় ১৯ জুলাই আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি নেই। উপরন্তু মামলার ৬ নং আসামি ওসি মঈন উদ্দিনকে হবিগঞ্জ তার গ্রামের বাড়ি থেকে আটক করা হয়। কিন্তু তাকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক।
বক্তারা বলেন, একটি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হওয়া সত্ত্বেও গ্রেপ্তারের পরদিন তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এতে আমরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছি। সে সঙ্গে তুরাব হত্যায় জড়িত এসএমপি’র সাবেক উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ ও অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) গোলাম কাওসার দস্তগীরসহ সব আসামিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার জোর দাবি জানান। তা না হলে কঠোর কর্মসূচির ডাক দিতে বাধ্য হবেন সিলেটের সাংবাদিকরা।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান, স্বরাষ্ট্র ও উপদেষ্টা আইন উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
নিহত এটিএম তুরাব দৈনিক নয়াদিগন্তের সিলেট প্রতিনিধি ও দৈনিক জালালাবাদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন।
গত ১৯ জুলাই নগরের বন্দরবাজারে বিএনপির মিছিল চলার সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের গুলিতে সাংবাদিক এ টি এম তুরাব নিহত হন। এ ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলার ৬ নং আসামি সিলেটের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন।
সিলেট বিভাগীয় ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এ কর্মসূচিতে সিলেট জেলা প্রেসক্লাব, সিলেট প্রেসক্লাব, ইমজা, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের নেতারাসহ সিলেটে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।
গত রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে হবিগঞ্জের মাধবপুর ওসি মঈন উদ্দিনের গ্রামের বাড়িতে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র মজুত রাখার অভিযোগে অভিযান চালায় বিজিবি। ওই অভিযানে ওসি মঈন উদ্দিনকে আটকের পর মাধবপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরদিন সোমবার দুপুরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়- বিজিবি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ওসি মঈনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করতে পারেনি। অবৈধ অস্ত্রের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতাও নেই। ফলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।