- ডিসেম্বর ১০, ২০২৪
- লিড নিউস
- 2
নিউজ ডেস্কঃ ভারতের কলকাতা থেকে সিলেট জেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তিসহ চার নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে মেঘালয় রাজ্যের শিলং পুলিশ।
গ্রেপ্তার অন্য দুই আওয়ামীলীগ নেতা হলেন- সিলেট মহানগর যুবলীগেরসহ সভাপতি আব্দুল লতিফ রিপন ও সদস্য ইলিয়াস হোসেন জুয়েল।
কলকাতা, শিলং ও সিলেটের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে জানায়, রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে কলকাতার নিউ টাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে কলকাতা পুলিশের সহায়তায় তাদেরকে আটক করে শিলং পুলিশ। রাতেই তাদেরকে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে নেওয়া হয়েছে।
তবে ওই সময় আওয়ামী লীগের ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের আরও কয়েকজন শীর্ষ সারির নেতা ওই ফ্ল্যাট থেকে পালিয়ে যান। সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আফসর আজিজ ও মহানগর স্বেচ্চাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাশ মিটু উপস্থিত থাকলেও তারা সটকে পড়েন বলে সূত্র জানায়।
সূত্র আরও জানায়, ৫ আগস্ট বিষম্যবিরোধী আন্দোলনে সরকার পতনের পর শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এরপর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান। অনেকে পালিয়ে দেশ ছাড়েন। ওই সময় ভারতের শিলংয়ে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ছয় নেতা সিলেট থেকে মেঘালয়ের শিলংয়ে অবস্থান করছিলেন। ওই সময় সেখানে তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশ, ছিনতাই, চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগে স্থানীয় থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
যদিও আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের এই চার নেতার বিরুদ্ধে প্রথমে ‘ধর্ষণের মামলা’ হয়েছে বলে প্রচার করা হয়। এমনকি ভারতের জি নিউজের বাংলা সংস্করণ ২৪ ঘণ্টার খবরেও এমনই তথ্য দেওয়া হয়। তবে শিলং পুলিশ সূত্র বলছে, তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের কোনো অভিযোগ নেই।
রাজ্যের পুলিশের তথ্য মতে, একজন ট্রাক ড্রাইভার পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছিল। তারা ওই ড্রাইভারকে মারধর করেছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সেই তথ্য মতে একজনকে ডাউকি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকেই জিজ্ঞেসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য মতে কলকাতা পুলিশের সহযোগিতায় নিউটাউন থেকে রোববার চারজনকে গ্রেপ্তার করে শিলং পুলিশ।
যোগাযোগ করা হলে ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, একটি সংঘবদ্ধ চক্র ছয় নেতার বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছে। আজ মঙ্গলবার তাদের আদালতে তোলা হবে। আমরা যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের মুক্তির চেষ্টা চালাচ্ছি। অথচ তাদের ইমেজ ক্ষুণ্ন করতে ধর্ষণকাণ্ডের ঘটনা ছড়ানো হয়েছে।