• ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫
  • শীর্ষ খবর
  • 10
সিলেটে আ.লীগের শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আরেক মামলা

নিউজ ডেস্কঃ সিলেটে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় গতকাল রবিবার সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২নং আমলী আদালতে মামলাটি (গোলাপগঞ্জ সিআর মামলা নং ৯৬) দায়ের করা হয়েছে।

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য শাহিদুর রাহমান চৌধুরী জাবেদকে প্রধান আসামী করে মামলাটি দায়ের করেছেন গোলাপগঞ্জ উপজেলার রণকেলী নয়াগ্রামের মো. আবদুল মুতলিবের ছেলে নজমুল ইসলাম। মামলায় ৭১ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪০-৪৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ৪ আগস্ট বিকেল পৌণে ৪টার দিকে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মিছিলের উপর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। এতে বাদীসহ অনেকে গুলিবিদ্ধ হন।

মামলার আসামীরা হলেন- সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য শাহিদুর রাহমান চৌধুরী জাবেদ, যুবলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম, গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আলীম উদ্দিন বাবলু, দপ্তর সম্পাদক নাজিম উদ্দিন লস্কর, যুবলীগ নেতা আশফাকুর রহমান, গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল আলী, এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আবীর মো. শাকিল, স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় নেতা জামিল আহমদ ওরফে ডিপা জামিল, ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাকির খান, গোলাপগঞ্জ দত্তরাইলের মৃত রফিক উদ্দিনের ছেলে সুমন আহমদ ও রুমন আহমদ, ছাত্রলীগ নেতা রাজু আহমদ, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুস সামাদ, জেলা যুবলীগ নেতা শাহীন আহমদ, ছাত্রলীগ নেতা মাজহারুল আলম মোহন, আওয়ামী লীগ নেতা শরীফ আহমদ, ছাত্রলীগ নেতা পারভেজ আহমদ, বুধবারী বাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফতার হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা তুয়েব আহমদ শিমু, যুবলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন ও বদরুল আলম, দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার ভালকী গ্রামের মো. সুমন মিয়া, সিলেট নগরীর সুবিদবাজার লন্ডনী রোডের রুহুল কুদ্দুস বাবুল, গোলাপগঞ্জের কানিশাইলের ময়নুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা আলীম উদ্দিন, গোলাপগঞ্জের ফতেহপুরের আবদুল কাইয়ূম, আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলাম দুলাল, যুবলীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমান, তালিম আহমদ দিপু, ছাতক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রহিম উদ্দিন আহমদ, গোয়াইনঘাটের পাথরটিলার মীর্জা মো. নাজিম উদ্দিনের তিন ছেলে মীর্জা মো. গিয়াস উদ্দিন, মীর্জা মো. রিয়াজ উদ্দিন ও মীর্জা মো. জসিম উদ্দিন, বিশ্বনাথের সাবসেন আলীনগরের জাহেদ আলী, বিয়ানীবাজারের চারখাই নয়াগ্রামের ছিদ্দিকুর রহমান ও তার ভাই লোকমান আহমদ, গোলাপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ময়নুল ইসলাম রনি, গোলাপগঞ্জ মোল্লারচকে জসিম উদ্দিন, গোলাপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা হোসেন আহমদ, গোলাপগঞ্জের ফতেহপুরের খলিলুর রহমান, নুরুপাড়ার গৌছ মিয়া, বাঘা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ আহমদ, ভাদেশ্বর পূর্বভাগের রিফাত তালুকদার, বাঘা হাতিমনগরের সৈয়দ ইসলাম উদ্দিন, দক্ষিণ সুরমা পিরোজপুরের আওয়ামী লীগ নেতা শিমুল হক, সুন্দিশাইলের ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজ আনাম মাহী, যুবলীগ নেতা ফুয়াদ আহমদ, দক্ষিণ সুরমার পিরোজপুরের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা তান্না জামান, বারখলার মিলাদ আহমদ, গোলাপগঞ্জ করগ্রামের মো. নাজমুল হোসাইন, ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ময়নুল ইসলাম ময়না, ছাতকের পশ্চিম সুহিতপুরের ওয়াছির আলী, একই গ্রামের সুন্দর আলী, আনকার আলী, ছাদেকুর রহমান, শাহেদ আলী, ছাব্বির আহমদ, মো. তাজুল ইসলাম, ফয়জুল হক, আনোয়ার উদ্দিন ও আবুল ফজল, কোম্পানীগঞ্জের বাদরপুরের বাবুল মিয়া, একই গ্রামের আবদুর রউফ, সিলেট এয়ারপোর্ট থানার নাকচাপড়া গ্রামের আলা উদ্দিন, গোলাপগঞ্জ ঘোষগাঁওয়ের ফয়সল আহমদ ও আহমদ আলী, দক্ষিণ সুরমার লাউয়াইয়ের কুতুব উদ্দিন, ছাতকের বাদাম মুহিতপুরের রফিকুল ইসলাম, গোলাপগঞ্জের মোল্লাগ্রামের আজিজুর রহমান ফয়সল ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ নেতা তায়রুল আহমদ লিমন।