- ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫
- জাতীয়
- 10

নিউজ ডেস্কঃ জেল জীবন মারাত্মক। শিক্ষা পেতে হলেও অপরাধ যারা করে তাদের সাতদিন কারাগারে থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
কারাগারে সবাই তার সঙ্গে মজা করে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালতে এক মামলার শুনানির আগে তিনি এ মন্তব্য করেন। এদিন ধানমন্ডি থানার মো. রিয়াজ হত্যা মামলায় রিমান্ড শুনানির জন্য তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে সিএমএম আদালতের হাজতখানা থেকে পলককে বের করা হয়। তাকে হেলমেট, হাতকড়া ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরানো হয়েছিল। হেঁটে আদালতে যাওয়ার পথে তিনি উপস্থিতদের উদ্দেশ করে বলেন, মিথ্যা দিয়ে সত্যকে সাময়িকভাবে আড়াল করা গেলেও সত্যের জয় অনিবার্য, ইন শা আল্লাহ।
বিচারক আসন গ্রহণের আগে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে পলক বলেন, আমাকে তো নিয়মিত আদালতে আসা লাগে। তবে যেদিন আসা লাগে না সেদিন কারাগারে হাঁটতে বের হলে জেলের বন্দিরা আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে, ভাই আজকে আপনার অফিস নেই। আদালতে হাজিরা নিয়ে তারা মজা করে। আদালতকে তারা আমার অফিস ভাবে। জেল জীবন মারাত্মক। জীবনে শিক্ষার জন্য সাত দিন হলেও কারাগারে থাকা উচিত। আমি যদি কখনো কারাগার থেকে বের হতে পারি তখনও এই কথা বলবো।
এ সময় নিজের ব্যক্তিগত আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তোমরা কথা বললেই তো রিমান্ডের পরিমাণ বেড়ে যায়। তারা তো (রাষ্ট্রপক্ষ) বলেছে, রিমান্ড তো শুরু। তাই কথা বলার দরকার নেই। আল্লাহ উত্তম পরিকল্পনাকারী। এটা কোনোভাবে পরিবর্তন করা যাবে না।
পরে তিনি কাঠগড়ায় সামনে গিয়ে দাঁড়ান। তখন ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকীকে উদ্দেশ্য করে একাধিকবার সালাম দেন। তবে প্রথমে সাড়া না দিলেও পরবর্তীতে পিপি হাসতে হাসতে তার সালামের উত্তর দেন। এরপর পলক বলেন, যাক এইবার পিপি স্যারের মন নরম হয়েছে।
পরে বেলা ১১টা ১০ মিনিটে এজলাসে ওঠেন বিচারক। পরে রিয়াজ হত্যা মামলায় পলককে গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে আদালত তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে পুলিশ প্রহরায় তাকে আদালত থেকে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৪ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডির সায়েন্সল্যাব এলাকা থেকে জিগাতলা এলাকায় যাওয়ার পথে আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন মো. রিয়াজ (২৩)। দুই সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১৭ আগস্ট বিকালে মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের মা মোসা. শাফিয়া বেগম ৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।