- এপ্রিল ৭, ২০২৫
- শীর্ষ খবর
- 2

নিউজ ডেস্ক: ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে ডাকা বিক্ষোভ মিছিল থেকে ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান দাবী করে কেএফসি রেস্টুরেন্ট, বাটা, ইউনিমার্টসহ বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টালি স্টোর যেখানে কোক পেপসি আছে সেখানে ভাংচুর করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্টানে লুট করা হচ্ছে।
সরজমিনে দেখা যায়, সিলেট নগরের মিরবক্সটুলা এলাকায় কেএফসি রেস্টুরেন্টে হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। ইসরাইলি প্রতিষ্ঠান দাবি করে সেখানে দুই দফা হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।এছাড়াও কোক রাখার জন্য জালালাবাদ এলাকার ফুলকলি, চৌহাট্টাস্থ আলপাইন রেস্টুরেন্ট, আম্বরখানার কয়েকটি ডিপার্টমেন্টালি স্টোরসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকার ডিপার্টমেন্টালি স্টোর ও দোকানে হামলা চালানো হয়।
জানা গেছে, ফিলিস্তিনের বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যাকারী ও দখলদার ইসরায়েলের পাশবিক হামলার প্রতিবাদে এবং অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনির স্বাধীনতার দাবিতে ‘নো ওয়ার্ক নো ক্লাস’ কর্মসূচিতে সকাল থেকেই উত্তাল হয়ে উঠে পুরো সিলেট। দুপুরের মধ্যে মিছিলের নগরে পরিণত হয় সিলেট। এসময় একটি মিছিল থেকে থেকে ক্ষুব্ধ জনতা বেলা আড়াইটার দিকে নগরের মিরবক্স টুলায় কেএফসিতে হামলা চালায়। এসময় রয়েল মার্ক ভবনের দ্বিতীয় তলায় থাকা কেএফসিতে হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তারা। কেএসফির সামনের অংশের কাঁচ ঢিল ছুড়ে ভেঙে ফেলার পর বিক্ষুব্ধ জনতা কেএফসির ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায়। পাশাপাশি ফ্রিজে ও মজুত করে রাখা পেপসি, সেভেনআপ, মাউন্টেন ডিউসহ শত শত বোতল কোমল পানিয় দুতলা থেকে রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। রাস্তায় পড়ে অক্ষত থাকা বোতলগুলোও ভেঙে ফেলা হয়। এসময় ভবনে থাকা রয়েক মার্ক হোটেলের রিসিপশন এলাকা, তিন তলায় থাকা সাফরা রেস্টুরেন্টও ভাঙচুরের শিকার হয়। দীর্ঘ সময় ধরে ভাঙচুর চালিয়ে তারা চলে যান। এরপর বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ফের বিক্ষুব্ধ জনতার আরেকটি দল কেএফসিতে হামলা চালায়। এসময় আরেক দফা ভাঙচুরের শিকার হয় কেএসফসি।
এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থাকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।