- এপ্রিল ১২, ২০২৫
- শীর্ষ খবর
- 5

নিউজ ডেস্কঃ মোটরসাইকেল পার্কিং করাকে কেন্দ্র করে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা দিপুর হামলায় সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্যসচিব আজিজুল হক আজিজসহ তিনজন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে আজিজকে গুরুতর আহত অবস্থায় মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। পরে এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে দিপুর বাসায় হামলা চালালে সেই এলাকার বাসিন্দারা বিএনপির নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করে এবং তাদের ফেলে আসা ৩১টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
জানা গেছে, শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে সিলেট ল কলেজের সামনে মোটরসাইকেল পার্কিং করাকে কেন্দ্র করে আজিজের সঙ্গে দিপুর বাগবিতণ্ডা হয়। এর পর দিপু তার লোকজন নিয়ে আজিজের ওপর হামলা চালায় এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আজিজের মাথায় আঘাত। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় আজিজকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে, তার মাথায় ১৮টি সেলাই লাগে বলে জানায় হাসপাতাল সূত্র।
এই খবর পেয়ে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা প্রায় ৮০টি মোটরসাইকেল নিয়ে মাছিমপুর গিয়ে দিপুর বাসায় হামলা চালালে, এলাকাবাসী তাদের ওপর পাল্টা আক্রমণ করে এবং তাদের ফেলে আসা ৩১টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
এ ঘটনার খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা নগরীর উপশহরের রোজভিউ হোটেলের সামনে জড়ো হতে থাকেন। এ সময় তাদের শান্ত করতে সেখানে সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, শামীম আহমদসহ বিএনপি নেতারা উপস্থিত হন।
কয়েস লোদী যখন নেতা-কর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করছেন ঠিক সেই সময়েই সেনাবাহিনীর একটি দল সেখালে এলে নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মিলে মাছিমপুরে ঘটনাস্থলে যান এবং ভাঙচুর হওয়া ৩১টি মোটরসাইকেল পিকআপযোগে পুলিশ লাইনে ফেরত আনা হয়।
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আজিজের সাথে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা ঘটেছে তা সিলেটের রাজনীতির জন্য মোটেও শুভনীয় নয়। যারা এ কাজ করেছেন তারা জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মামলার আসামি। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করছি।’
এ বিষয়ে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবক দলের ওপর হামলার ঘটনায় ৩১টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। তবে কাউকে আটক করা যায়নি।’
এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। ছাত্রলীগ নেতা দিপুর বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে জন্য আগে থেকেই পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে জুয়া খেলা ও মাদক কেনাবেচায় শেল্টার দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।’