• মে ১১, ২০২৫
  • লিড নিউস
  • 4
অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সিলেট সীমান্তে বাড়তি সতর্কতা

নিউজ ডেস্কঃ অনুপ্রবেশ ও সহিংসতা ঠেকাতে সিলেট সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

পরিস্থিতি বিবেচনায় সীমান্তবর্তী এলাকায় সচেতনতা বাড়ানোর জন্য জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চলমান রাখা হয়েছে।

এমনটি জানিয়ে বিজিবি সিলেট ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হক কর্তৃক গণমাধ্যমে একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়।

এতে বলা হয়, তামাবিল নলজুরি এলাকায় গত ৮ মে ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ জরিপ কার্যক্রম চলাকালে স্থানীয় গ্রামবাসীদের সঙ্গে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।

পরে সিলেটের গোয়াইনঘাট সীমান্তবর্তী অঞ্চলের ভারতের অংশে তিন হিল ডিস্ট্রিক্টে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়। প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে।

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সিলেট ব্যাটালিয়ন, ৪৮ বিজিবির পক্ষ অধিনায়ক নাজমুল হক বলেন, সীমান্তকে সুরক্ষিত রাখার লক্ষ্যে অনুপ্রবেশ, বহির্গমন এবং চোরাচালানি প্রতিরোধে বিজিবির নিয়মিত টহল কার্যক্রম আরও জোরদার করেছি। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সীমান্তবর্তী এলাকায় সচেতনতা বাড়ানোর জন্য জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এ ছাড়া ভারত সংলগ্ন সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্ত অঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়ন ৪৬ বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, জেলার কুলাউড়া, কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলাজুড়ে বিস্তৃত ১১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তে বিজিবি টহল বাড়ানো হয়েছে। আগের চেয়ে এখন আরও বেশি সংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয়েছে।

৪৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম জাকারিয়া বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমরা সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছি। প্রতিটি সন্দেহজনক চলাচল নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ভারতের গুজরাট রাজ্য থেকে মুসলিম জনগোষ্ঠীর একটি অংশকে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করে সীমান্ত দিয়ে পুশইনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সম্প্রতি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে এমন তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

তবে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, যে-সব ব্যক্তিকে বাংলাদেশি হিসেবে দাবি করা হচ্ছে, তাদের বেশিরভাগই বহু প্রজন্ম ধরে ভারতে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিক।