- জুন ৪, ২০২৫
- লিড নিউস
- 5

নিউজ ডেস্কঃ সিলেটের জকিগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘন্টায় কুশিয়ারার পানি স্তর হ্রাস পেয়েছে প্রায় ২৯ সেন্টিমিটার। কিন্তু লোকালয়ে এখনো পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে প্রবল স্রোতে পানি লোকালয়ে ঢুকছে। জকিগঞ্জ সদর, সুলতানপুর, খলাছড়া, বিরশ্রী ইউপির বেশ কয়েকটি এলাকায় মানুষের ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব বাড়িঘরের লোকজন আত্মীয় স্বজনের বাড়িসহ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। এখনো নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নদীতে পানি কিছুটা কমলেও ভেঙে যাওয়া কয়েকটি বাঁধ দিয়ে এখনো পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। এতে নিম্নাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। নদীতে আরো কয়েক সেন্টিমিটার পানি না কমলে বন্যা কবলিত এলাকার পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বিশেষ করে উপজেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসন থেকে বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। গত দুদিন ধরে ভারতের আসাম, মণিপুর অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত পরিলক্ষিত হয়নি। ফলে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা বরাক নদীর পানির সমতল হ্রাস অব্যাহত আছে।
উপজেলা প্রশাসনের তথ্যনুযায়ী জকিগঞ্জে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪১ টি গ্রামের ২৬ শ ৮ জন মানুষ পানিবন্ধি হয়েছেন। দুর্গত এলাকায় ২৬ মেট্রিকটন চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলার চারটি আশ্রয়কেন্দ্রে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪০টি পরিবারের ১১৫ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে এখনও বিপৎসীমার ১.৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করে পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।