• জুন ১৫, ২০২৫
  • জাতীয়
  • 3
তেহরানের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঢাকা, বাংলাদেশিদের এখনই উদ্ধার নয়

নিউজ ডেস্কঃ তেহরানের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ঢাকা। তবে এখন পর্যন্ত সেখানে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের ফেরাতে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

রোববার (১৫ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের আলাপকালে তারা জানান, তেহরানের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছে ঢাকা। সেখানে বাংলাদেশিদের সঙ্গে যোগাযোগও রাখা হচ্ছে। তবে তাদেরকে উদ্ধারে এখনো কোনো পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি।

একজন কর্মকর্তা জানান, ইরানে প্রবাসী বাংলাদেশি খুব বেশি নেই। তবে বেশ কিছু শিক্ষার্থী রয়েছেন। এখন দেশটির সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিমান যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। সেকারণে এখনই ফেরত আনা সম্ভব নয়। বিমান যোগাযোগ চালু হলে, তাদেরকে ফেরত নিয়ে আসা সম্ভব হবে। তখন আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় ফিরেও আসতে পারবে।

তেহরানের বাংলাদেশ দূতাবাসের কনস্যুলার ওয়ালিদ ইসলাম জানান, ইরানে প্রায় ৬৬ জন বাংলাদেশের শিক্ষার্থী রয়েছেন। এদের মধ্যে তেহরানে ৫ জন, কারাজে ১ জন, গোরগানে ৮ জন, কোমে ৫০ জন , ১ জন ইসফহানে এবং ১ জন মাত্র শিক্ষার্থী মাসাদে লেখাপড়া করছেন । তাদের সবার সঙ্গেই আমার যোগাযোগ হচ্ছে। তারা সবাই ভালো আছে।

তিনি জানান, সেখানে কোন বাংলাদেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সবাইকে ধৈর্য ধারণের অনুরোধ করেছেন তিনি।

তেহরান দূতাবাসের আর একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, ইরানে বেশিরভাগ বাংলাদেশি বন্দর আব্বাসে থাকেন। বন্দর আব্বাস তেহরান থেকে ১,২০০ কি.মি দূরে। সেখানে আক্রমণের কোন খবর এখনো পাওয়া যায়নি।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশের দূতাবাসের তালিকায় ইরানে ৬৭২ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছে। তবে তালিকার বাইরে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। প্রায় ১৪ হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই অনিয়মিত।

এদিকে ইরানে ইসরায়েলের হামলার প্রেক্ষিতে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলের এই সুস্পষ্ট শত্রুতাপূর্ণ কাজ জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নীতিমালা এবং ইরানের সার্বভৌমত্বের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এটি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্যই একটি গুরুতর হুমকি যার সুদূরপ্রসারী পরিণতি হবে। বাংলাদেশ জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একটি স্থিতিশীল মধ্যপ্রাচ্যের সমর্থনে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে।

গত ১৩ জুন ভোরে ইসরায়েল ইরানে বিভিন্ন স্থানে সামরিক হামলা শুরু করে। ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইরানের ৬ বিজ্ঞানীসহ ৭৮জনের মৃত্যু হয়। আহত হয় ৩২০ জন। এদিকে ইরানের পাল্টা হামলায় ৭ জন ইসরায়েলি মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ৬০ জনেরও বেশি।