- জুন ১৯, ২০২৫
- আন্তর্জাতিক
- 3

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করবে কি না, সে বিষয়ে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) হোয়াইট হাউসের ব্রিফিংরুম থেকে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের কথা পাঠ করেন তার প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট।
ব্রিফিংয়ে বলা হয়, মার্কিন সামরিক পদক্ষেপের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ক্যারোলিন লিভিট জানান, ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘অদূর ভবিষ্যতে ইরানের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বা নাও হতে পারে – তার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। এই বিষয়টির ওপর ভিত্তি করে, আমি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আমার সিদ্ধান্ত নেব যে, আমি (ইরান সংঘাতে) যাব কিনা। ’
ক্যারোলিন বলেন, ‘ইরানের সঙ্গে আলোচনার একটি সম্ভাবনা রয়েছে। সেটা সামনে রেখে প্রেসিডেন্ট দুই সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। ’
ইরান ও ইসরায়েল সংঘাতের সপ্তম দিনও বুধবার রাতে একে অপরের ওপর পাল্টাপাল্টি হামলা চালায়। এর আগে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ইরানে হামলার কথা ভাবছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বাতিলের শর্তে ট্রাম্প হামলা শুরুর সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখতে পারেন।
গত মঙ্গলবার রাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানে হামলার পরিকল্পনা অনুমোদন করেন। কিন্তু হামলা চালানো হবে কিনা, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি।
বুধবার ইরানের ওপর ইসরায়েলি হামলায় যুক্তরাষ্ট্র জড়াবে কিনা এমন প্রশ্নে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি এটা করতে পারি, আমি নাও করতে পারি। ’
এদিকে, ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া থেকে সরে আসতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। তিনি বলেছেন, এখানে সংঘাত ‘বৃদ্ধির বড় ঝুঁকি’ আছে।
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে কূটনৈতিক সমাধান খোঁজার আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। স্টারমার বলেছেন, এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বেশ কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে এবং আমার মতে, এটিই এই সমস্যা সমাধানের উপায়।
তথ্যসূত্র: সিএনএন