- জুলাই ২৫, ২০২৫
- শীর্ষ খবর
- 8

নিউজ ডেস্কঃ সিলেটের জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিপুল পরিমান ভারতীয় চকলেটসহ বিভিন্ন পণ্য ও চোরাচালান কাজে ব্যবহৃত দুটি বারকী নৌকা, একটি নোহা গাড়ী জব্দ করেছে। এসময় মো. আব্দুস সামাদ (২৫) একজনকে আটক করা হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ( ২৪ জুলাই ) বিকাল ৩টা ২৫ মিনিটে সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের টহল টিম জৈন্তাপুর উপজেলার জৈন্তাপুর ইউনিযনের আলুবাগান এলাকার জনৈক সিরাজ মিয়ার ফিসারীর বিল্ডিংয়ের পিছন ও নলজুরী খাঁসি নদীর পূর্বপাড় এলকায় অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় বিভিন্ন ব্যান্ডের চকলেট জব্দ করে।
এসময় নদী পথে ভারতীয় চকলেট বহনকারী দুটি নৌকা ও সড়ক পথে বহনের জন্য নিয়ে আসা একটি সিলভার রংয়ের নোহা গাড়ী (ঢাকা মেট্রো-গ-১৪-৫৮৪৬) সহ ১জন চোরাকারবারীকে আটক করা হয়।
আটককৃত সামাদ গোয়াইনঘাট উপজেলার নলজুরী গ্রামের মো. হানিফ মিয়ার ছেলে।
সামাদ প্রাথমিক জিজ্ঞসাবাদে জানান, তারা বারকী নৌকা যোগে খাঁসিনদী দিয়ে ভারত হতে নানান ধরনের পন্য বাংলাদেশে নিয়ে আসে। সুযোগ বুঝে নরজুরী নদীর বিভিন্ন স্থানে পূর্ব হতে প্রস্তুত প্রাইভেটকার, নোহাগাড়ী, লেগুনা, ডিআই ট্রাক, সিএনজি গাড়ীতে পণ্য পরিবহন করে আসছে। অটককৃত ব্যক্তি আরও জানান পুলিশের অভিযান টেরপেয়ে দিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার লাখেরপাড় আসামপাড়া (ছৈলাখেল ৮মখন্ড) গ্রামের মো. আমির হোসেনের ছেলে মোঃ মোস্তফা মিয়া (৪০), সহ অপর নাম না জানা আরেক চোরাকারবারী পালিয়ে যায়। তারা পরস্পর যোগসাজসে অবৈধভাবে বাংলাদেশ সরকারের শুল্ক/কর ফাঁকি দিয়া ভারতীয় চকলেট দেশের অভ্যন্তরে আনয়ন করিয়া বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নৌকা ও নোহা গাড়ীযোগে পরিবহন করছিল বলে জানায়।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার মো. বদরুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চকলেট সহ চোরাচালান কাজে ব্যবহৃত ২টি বারকী নৌকা ও ১টি নোহাগাড়ী আটক করা হয়েছে। আটককৃত ব্যক্তিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আমাদের অভিযান চলমান আছে। আটককৃত ব্যক্তিকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।